পাপিয়াকাণ্ডে দায়িত্বে অবহেলা: এবার কাশিমপুরের জেল সুপারকে বদলি

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৩ | ১৫:০৬ | আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৩ | ১৫:০৬
যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার নেতৃত্বে বন্দি রুনা লায়লাকে নির্যাতনের ঘটনায় ছয় কারারক্ষীকে বদলির পর এবার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ওবায়দুর রহমানকেও বদলি করা হয়েছে। তাঁকে পাঠানো হয়েছে রাজশাহী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের (কারা-১ শাখা) উপসচিব তাহনিয়া রহমান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই বদলির আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে পাপিয়াকাণ্ডে দায়িত্বে অবহেলার কারণে গত রোববার কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের ছয় কারারক্ষীকে পৃথক ছয়টি কারাগারে বদলি করা হয়েছে।
কারা সূত্র জানায়, ওবায়দুর রহমান মহিলা কারাগারের জেল সুপারের দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় বন্দি নির্যাতনসহ নানা অনিয়ম হয়েছে। এ বিষয়গুলো পাপিয়াকাণ্ডের পরই জানাজানি হচ্ছে। কারাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে সঠিক দায়িত্ব পালন করতে পারেননি তিনি। এ কারণে তাঁকে বদলি করা হয়েছে। এ বিষয়ে ওবায়দুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঠিক কী কারণে আমাকে বদলি করা হয়েছে জানি না। সরকারি চাকরি, যে কোনো সময় বদলির আদেশ হতে পারে।
এদিকে বন্দি নির্যাতনের ঘটনায় দায়িত্বরত জেলার ও জেল সুপারের কোনো অবহেলা ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখতে গতকাল কারা অধিদপ্তরের তিন সদস্যের একটি টিম কাশিমপুর মহিলা কারাগার পরিদর্শন করেছে। এ সময় তারা জেল সুপার ওবায়দুর রহমান ও ফারজানা আক্তারের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান।
বিভিন্ন কারণে আলোচিত যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী পাপিয়াকে গ্রেপ্তারের পর কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সের ভেতরে কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে রাখা হয়। অভিযোগ আছে, সেখানেও পাপিয়া নানা ধরনের অপরাধ শুরু করেন। এর জন্য কয়েকজন কারারক্ষী ও নারী বন্দিকে নিয়ে কারাগারের ভেতর গড়ে তোলেন অনুগত বাহিনী। পাপিয়া ও তাঁর অনুসারীরা বন্দি অন্য নারীদের কাছ থেকে টাকাপয়সা ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিতেন। প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর চলত নির্যাতন। এর মধ্যে নথি চুরির মামলার আসামি শিক্ষানবিশ আইনজীবী রুনা লায়লাকে গত ১৯ জুন কারাগারের ভেতর পাপিয়া ও তাঁর অনুসারীরা নির্যাতন করেন। পাপিয়ার পক্ষ নিয়ে রুনাকে নির্যাতনে প্রধান কারারক্ষী ফাতেমা আক্তারসহ অন্য কয়েকজন কারারক্ষী সহযোগিতা করেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।