ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

কালুরঘাটে সীমাহীন দুর্ভোগ

কালুরঘাটে সীমাহীন দুর্ভোগ

ছবি-সংগৃহীত

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৩ | ১৮:০০

বছরের শেষ দিকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু হয়ে ট্রেন যাবে কক্সবাজারে। সেতুটি সংস্কারে তিন দিন আগে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। দুই পাড়ের মানুষের পারাপারের জন্য চালু করা হয় ফেরি। এ ফেরিতে ওঠানামার পথ জোয়ারের পানিতে ডুবে যাওয়ায় তিন দিন ধরে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন দুই পাড়ের মানুষ। গতকাল বৃহস্পতিবারও ওঠানামার বেইলি ব্রিজ ডুবে যাওয়ায় চার ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় নদী পার হন যাত্রীরা। অভিযোগ রয়েছে, জোয়ারের কারণে নদীর পানি কতটা উঁচু হতে পারে, তা বিবেচনায় না নিয়েই পন্টুনের সঙ্গে ফেরির সংযোগ সেতু স্থাপন করায় এ সমস্যা হয়েছে।

 কর্ণফুলীর দক্ষিণ প্রান্তে বোয়ালখালী উপজেলা ও উত্তর প্রান্তে সিটি করপোরেশনের মোহরা ওয়ার্ড। গত মঙ্গলবার সংস্কারের জন্য কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পর চালু করা হয় ফেরি। প্রথম দিন থেকেই শুরু হয় মানুষের দুর্ভোগ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে নদী পাড়ি দেন লোকজন। অনেকে সেতু দিয়ে হেঁটে পার হন। বুধবার সেতুর ওপর হাঁটাচলাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পর থেকে নদী পারাপারের জন্য একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে ফেরি। গতকাল বৃহস্পতিবার ফেরিতে ওঠানামার পথ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় দুই পাড়ের বাসিন্দাদের। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ফেরি বন্ধ থাকায় শত শত মানুষ বিপাকে পড়েন। বেশি দুর্ভোগে পোহাতে হয় বৃদ্ধ, নারী ও শিশুদের। দুই প্রান্তে গাড়ির দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়। পন্টুনের সঙ্গে যুক্ত বেইলি ব্রিজের পানি নেমে গেলে বিকেল সাড়ে ৩টার পর ফেরি চলাচল ফের চালু হয়। বোয়ালখালী প্রান্তের ভাসমান দোকানি মো. শাহাদাত সমকালকে বলেন, জোয়ারের পানির কারণে চার ঘণ্টা ফেরি বন্ধ ছিল। এ সময় যাদের জরুরি প্রয়োজন ছিল, তারা নৌকায় পার হয়েছেন। অন্যরা বিকল্প পথে শহরে গেছেন। বোয়ালখালীর কধুরখিলের বাসিন্দা ব্যবসায়ী কাজী হেলাল উদ্দিন সমকালকে বলেন, শহরে কাজ থাকায় দুপুর ১২টায় এসেছিলেন। তখন ফেরি বন্ধ থাকায় পার হতে পারেননি। আবার বাড়িতে চলে যান। ফেরি চলাচল শুরু হলে বিকেলে ফেরি পার হয়েছেন। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের চট্টগ্রাম অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, তাদের সব প্রস্তুতি আছে। কিন্তু প্রকৃতিকে তো নিয়ন্ত্রণের সুযোগ নেই। তাই একটু কষ্ট হচ্ছে। আশা করছেন ধীরে ধীরে ভোগান্তি কমবে। সেতু নির্মাণে পানির উচ্চতা বিবেচনায় না নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বেশি উচ্চতা হওয়ায় পানিতে সংযোগ সেতু তলিয়ে যাবে। জোয়ার স্বাভাবিক হলে তখন এ অবস্থা আর থাকবে না।

আরও পড়ুন

×