স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় স্বামীর নিখোঁজ জিডি, আটক ১

আটক স্বামী মোহাম্মদ আলী হোসেন। ছবি: সমকাল
বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৩ | ১৩:৩৮ | আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২৩ | ১৫:২০
বাগেরহাটে নিখোঁজের সাত দিন পর টয়লেট থেকে
ফিরোজা বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার
বিকেলে সদর উপজেলার দেওয়ানবাটি এলাকায় নিহতের বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর
আগে দুপুরে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে ওই নারীর
স্বামী মোহাম্মদ আলী হোসেনকে (৩৭) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন
স্থানীয়রা।
এদিকে ৩০ জুলাই রাত সাড়ে ১০টা থেকে
নিখোঁজ ছিলেন ফিরোজা বেগম। ৩ আগস্ট নিজের স্ত্রীকে নিখোঁজ
দাবি করে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মোহাম্মদ আলী হোসেন।
নিহত গৃহবধূ দেওয়ানবাটি গ্রামের গফুর মোল্লা
ওরফে সুইটের মেয়ে। বছর দেড়েক আগে শহরের নাগেরবাজার এলাকায় আজিজ মোল্লার ছেলে
মোহাম্মাদ আলী হোসেনকে বিয়ে করেন স্বামী পরিত্যক্তা ফিরোজা। ফিরোজা মোহাম্মাদ আলীর তৃতীয় স্ত্রী। তাদের ঘরে সন্তান
নেই।
নিহতের চাচা বারিক মোল্লা বলেন, ৩০ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার
দিকে মোহাম্মাদ আলী হোসেন জানায়, ‘আপনাদের
মেয়ে চলে গেল। আমি এসে দেখি রাস্তায় কেউ নেই। আলীর কাছে জানতে চাইলে বলে, অনেক দূর চলে গেছে, এখন পাবেন না। পরে আসবে
হয়তো।’
তিনি অভিযোগ করেন, ওই দিনই আলী ফিরোজাকে মেরে টয়েলেটের মধ্যে রেখে
দিয়েছে। বিয়ের পর থেকে আলী খুব বেপরোয়া ছিল। মাঝেমধ্যেই ফিরোজাকে মারধর করত।
ফিরোজার
প্রথম স্বামীর ঘরের জামাতা রায়হান ব্যাপারীর ভাষ্য, দুপুরে ঘরে গিয়ে পচা গন্ধ পান
তিনি। কীসের গন্ধ জানতে চাইলে আলী হোসেন দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার
চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয়দের চেষ্টায়
কিছুদূর
গিয়ে আলীকে ধরে ৯৯৯-এ ফোন করেন।
বাগেরহাট মডেল থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম
বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আলী
স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য
জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যার
ঘটনা ঘটেছে।
- বিষয় :
- বাগেরহাট
- স্ত্রী হত্যা
- মরদেহ
- উদ্ধার
- স্বামী আটক