ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

৮ দিন নিখোঁজ রূপালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক

৮ দিন নিখোঁজ রূপালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২৩ | ১৬:১৭ | আপডেট: ০৮ আগস্ট ২০২৩ | ১৬:১৭

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে রূপালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেছেন। মফিজুর রহমান নামের ওই ব্যাংক কর্মকর্তা উপজেলার জয়নগর বাজার রূপালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি নিখোঁজ, না আত্মগোপনে রয়েছেন– তা নিয়ে চলছে গুঞ্জন। আট দিন পার হলেও সন্ধান মেলেনি ওই ব্যাংক কর্মকর্তার। এ ঘটনায় অর্থ জালিয়াতি সন্দেহে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে।

এদিকে ব্যাংক কর্মকর্তা নিখোঁজে কাশিয়ানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) এবং তার দেশত্যাগ ঠেকাতে পুলিশের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চের ইমিগ্রেশন শাখায় লিখিত আবেদন করেছেন নতুন শাখা ব্যবস্থাপক ফাইজুর রহমান। নিখোঁজ মফিজুর কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দি ইউনিয়নের ফলসি গ্রামের মতিয়ার রহমান মোল্যার ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে গোপালগঞ্জ শহরের মিয়াপাড়ায় তাঁর শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। তবে সেখানে গিয়ে বাড়ি তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।

জানা গেছে, মফিজুর রহমান ২০১৯ সালের শেষ দিকে রূপালী ব্যাংকের জয়নগর বাজার শাখায় শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগদান করেন। গত ২৬ জুন ওই শাখায় নতুন শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ফাইজুর রহমানকে বদলি (নিযুক্ত) করা হয়। তিনি ১ আগস্ট যোগদান করতে ব্যাংকে এলে কর্মরত শাখা ব্যবস্থাপক মফিজুর রহমানকে পাননি। এ ঘটনায় পরদিন তিনি কাশিয়ানী থানায় জিডি করেন।

ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তা মফিজুর বড় ধরনের আর্থিক অনিয়ম করেছেন। ব্যাংক হিসাবে কয়েক কোটি টাকার গরমিল রয়েছে। যে কারণে তিনি আত্মগোপন করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

নতুন শাখা ব্যবস্থাপক ফাইজুর রহমান জানান, আগের শাখা ব্যবস্থাপক মফিজুর রহমান নিখোঁজ হওয়ায় জিডি করা হয়েছে। ব্যাংকে আর্থিক কোনো অনিয়ম হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে প্রধান কার্যালয় থেকে গত ৩ আগস্ট তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা ব্যাংকে এসেছিলেন। তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করছেন।

এদিকে পুলিশের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চের ইমিগ্রেশন শাখায় ফাইজুর রহমানের করা লিখিত আবেদনে বলা হয়েছে, ‘নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তা মফিজুর রহমান ব্যাংকের অর্থ জালিয়াতি ও আত্মসাতে জড়িত বলে প্রতীয়মান। ওই ব্যাংক কর্মকর্তা যে কোনো সময় দেশত্যাগ করতে পারেন। তিনি যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।’

কাশিয়ানী থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, ‘ব্যাংক কর্মকর্তা নিখোঁজের ঘটনায় জিডি করা হয়েছে। তবে বিষয়টি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’ 

আরও পড়ুন

×