সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে ভুয়া নিয়োগপত্রে অর্থ আত্মসাৎ

প্রতীকী ছবি
মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৩ | ১৮:০০
সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে প্রায় সাত লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌর শহরের দেবীপুর এলাকার গাজিবুর রহমান ওরফে গাজির পরিবারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ।
প্রতিকার চেয়ে গত বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী আনোয়ারা বেগম কর্তৃক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, দুদক, র্যাবসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগকারী আনোয়ারা বেগম জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার রশিদপুর এলাকার ইকবাল হোসেনের স্ত্রী।
জানা গেছে, আত্মীয়তার সুবাদে পরিচয় হয় গাজিবুর রহমান ওরফে গাজির ছেলে আলমগীর হোসেন হীরার শ্বশুর জুয়েল রানার সঙ্গে।
জুয়েল সেনাবাহিনীতে চাকরি দেবে বলে প্রচার করে। বিষয়টি আনোয়ারা বেগম জানতে পেরে তাঁর ছেলে কাকন মিয়ার চাকরির জন্য কথা বলেন গাজির পরিবারের সঙ্গে। গাজির ভাগনে হাফিজুরসহ এলাকার বিভিন্নজনকে সাক্ষী রেখে জুয়েল রানা ও গাজির পরিবারকে প্রায় সাত লাখ টাকা দিয়ে গোপনে ভিডিও ধারণ করে রাখে ভুক্তভোগী পরিবার।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, জুয়েলের কথামতো কাকন মিয়াকে ঢাকার একটি বাসায় নিয়ে সেনাবাহিনীর ভুয়া কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। সাদা খাতায় পরীক্ষা নিয়ে কাকনকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে জানানো হয় এক মাসের মধ্যে চাকরি হবে। পরে কাকন মিয়ার ঠিকানায় ডাকযোগে নিয়োগপত্র পাঠায় প্রতারক চক্র। নিয়োগপত্রে পাওয়া যোগাযোগ করে দপ্তর থেকে জানানো হয় এটি ভুয়া নিয়োগপত্র। বিষয়টি গাজির পরিবারকে জানানো হলে তারা ক্ষিপ্ত হয় এবং এক সাক্ষীর
ওপর হামলা করে।
অভিযোগের বিষয়ে গাজিবুর রহমান বলেন, ‘চাকরিপ্রত্যাশী কাকন মিয়ার পরিবার জুয়েল রানার সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমরা সে সময় টাকা দিতে নিষেধ করেছি। তবুও টাকা দিয়েছে। টাকা ফেরত পেতে আমার পরিবারকে চাপ দিচ্ছে। এটার মূল হোতা জুয়েল রানা।’ তবে জুয়েল রানার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।
ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসলাম হোসাইন বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর পর উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য বলা হয়েছে।’
- বিষয় :
- মধুপুর
- অর্থ আত্মসাৎ
- ভুয়া নিয়োগপত্র