ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

মেয়ের বাড়ি যাওয়া হলো না বৃদ্ধার

মেয়ের বাড়ি যাওয়া হলো না বৃদ্ধার

শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৩ | ১২:৫২ | আপডেট: ১২ আগস্ট ২০২৩ | ১২:৫২

দিনভর ভিক্ষা করে নাতি-নাতনির জন্য উপহার কিনে সন্ধ্যায় মেয়ের বাড়ি রওনা হন সূর্যবানু (৬০)। চতল গ্রামে মেয়ের বাড়ি যাওয়ার পথে সামনে পড়ে মহারশি নদী। উপায়ন্তর না দেখে হেঁটেই নদী পার হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু প্রবল স্রোতে ভেসে যান এই বৃদ্ধা। এর দুই দিন পর শনিবার তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

সূর্যবানু শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের বনগাঁও জিগাতলা গ্রামের মৃত আমির হোসেনের স্ত্রী। তার এক মেয়ে আছে। মেয়ের বিয়ে হয়েছে। স্বামী মারা যাওয়ার পর ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নেন সূর্যবানু। ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়তে পাশের গ্রামের জাফর আলী ওরফে গন্ধ মিয়াকে বিয়ে করেন তিনি। ভেবেছিলেন গন্ধ মিয়ার সঙ্গে সুখের ঘর বাঁধবেন। কিন্তু নিয়তির পরিহাস, বিয়ের পর গন্ধ মিয়া বদলে যান। নিজে কিছুই করতেন না। স্ত্রীর ভিক্ষার টাকায় চলতো তাদের সংসার। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি ছিল। একটু শান্তির আশায় মাঝে মধ্যেই চতল গ্রামে মেয়ের বাড়ি বেড়াতে যেতেন সূর্যবানু।

বৃহস্পতিবারও দিনভর ভিক্ষা করে নাতি-নাতনির জন্য উপহার কিনে সন্ধ্যায় মেয়ের বাড়ি রওনা দেন সূর্যবানু। পথে মহারশি নদী হেঁটে পার হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। মাঝ নদীতে যাওয়ার পর পানির তোড়ে ভেসে যান এই বৃদ্ধা। বিষয়টি জানার পর খোঁজাখুঁজি শুরু করে পুলিশ, ডুবুরী দল, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন। কিন্তু তার হদিস মেলেনি। অবশেষে শনিবার হাতিবান্ধা স্লুইচ গেট এলাকায় তাঁর লাশ ভেসে ওঠে। খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল আলম ভূইয়া বলেন, অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। স্বজনদের আবেদনে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশটি হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

×