সিগারেটের প্যাকেট বদলে না দেওয়ায় দোকানিকে নির্যাতন

ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৩ | ১৮:০০
সিগারেটের প্যাকেট বদলে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে দোকানিকে মারধরের অভিযোগ ওঠার পর ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থানার তিন পুলিশ সদস্যকে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। গতকাল রোববার পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই তিন পুলিশ সদস্য হলেন– চরভদ্রাসন থানার এএসআই শিমন খান, এএসআই মোহাম্মদ ইব্রাহিম মুন্সী ও কনস্টেবল সাব্বির হোসেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলন চাকমাকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মারধরের শিকার দোকানি আবদুর রব মোল্লা এখন ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অভিযোগ, তিনি চরভদ্রাসনে উপজেলা পরিষদের সামনে একটি ফাস্টফুডের দোকান চালান। গত বৃহস্পতিবার এএসআই শিমন তাঁর দোকানে গিয়ে বেনসন সিগারেটের ২০ শলাকার প্যাকেটের বদলে ১০ শলাকার দুটি ছোট প্যাকেট দিতে বলেন। দোকানে ছোট প্যাকেট না থাকায় তিনি দিতে পারবেন না বলে জানান। ওই সময় তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান ওই পুলিশ কর্মকর্তা। এর পর দিন তাঁর দোকানে গিয়ে মারতে মারতে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, থানায় গারদে আটকে তাঁর ওপর অমানবিকভাবে নির্যাতন চালানো হয়। রোলার ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবিও করেন অভিযুক্তরা।
এদিকে এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, চরভদ্রাসন থানার এএসআই শিমনসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আবদুর রবকে দোকান থেকে মারধর করে বের করে নিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, পুলিশ সেবাধর্মী জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান। কোনো পুলিশ সদস্যের দুর্নীতি বা অসদাচরণের বিরুদ্ধে সংস্থাটির অবস্থান– জিরো টলারেন্স। অপেশাদার আচরণের জন্য দায়ী পুলিশ সদস্যকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
- বিষয় :
- ফরিদপুর
- সিগারেট
- পুলিশ
- পুলিশ সদরদপ্তর