ভবনটি যেন মরণফাঁদ

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলা প্রধান ডাকঘর ভবন সমকাল
কাঁঠালিয়া (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৩ | ১৮:০০
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলা সদরের প্রধান ডাকঘর ভবনটি সংস্কারের অভাবে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ভবনের ছাদের বিমের পলেস্তারা খসে পড়ে রড বের হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। পানিতে ভিজে নষ্ট হয় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। যে কোনো মুহূর্তে ভবন ধসে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে ডাকঘরের প্রয়োজন কমে গেলেও সরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বীমা, পোস্টাল অর্ডার, রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও ম্যারেজ রেজিস্ট্রার কাজি অফিসের চিঠিপত্র এখনও ডাক বিভাগের মাধ্যমে পাঠানো হয়। ডাক বিভাগ প্রতিদিনই সচল থাকে। ভবনটি এখন একেবারেই জরাজীর্ণ।
সরেজমিন দেখা যায়, বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। ভবনের ছাদ ও দেয়াল চুইয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে টেবিলে থাকা কাগজপত্র নষ্ট হচ্ছে। মেঝেসহ ভবনটি পানিতে ভিজে আছে। পোস্টমাস্টার পানির মধ্যে বসেই দাপ্তরিক কাজ করছেন। ছাদ চুইয়ে পানি পরে টেবিলে রাখা মূল্যবান কাগজপত্র ভিজে যাচ্ছে। চেয়ার-টেবিলসহ আসবাব নষ্ট হয়ে অনেক আগেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে।
কথা হয় সেবা নিতে আসা কাঁঠালিয়া সদর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজি মো. মুজাহিদুল ইসলাম আসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, চিঠি পাঠাতে নিয়মিত পোস্ট অফিসে আসতে হয়। বৃষ্টির সময় ভবনের সামনে রাস্তায় হাঁটুসমান পানি থাকে। ভেতরের অবস্থাও ভয়াবহ। পলিথিন মাথায় দিয়ে কাজ করেন কর্মকর্তারা। ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী। দ্রুত সংস্কার করা দরকার।
এ সময় পোস্টমাস্টার মো. ফোরকান আহম্মেদ বলেন, বর্ষা মৌসুমে তাদের সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে থাকতে হয়। কখন ভবনটি ধসে পড়ে। পলেস্তারা খসে পড়ে। কিছুই করার নেই। ঝুঁকি নিয়েই কাজ করতে হয়।
ডাক বিভাগের পরিদর্শক মো. মোশারফ হোসেন জানান, ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সংস্কার ও পুনবার্সন প্রকল্পের আওতায় ডাকঘরটি পুনর্নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করেছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে।