স্বামীর ঘরে ঝুলছিল গৃহবধূর মরদেহ

প্রতীকী ছবি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৩ | ১২:৪০ | আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২৩ | ১২:৪০
লক্ষ্মীপুরের দত্তপাড়ায় শারমিন আক্তার নূপুর (১৯) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের করইতোলা গ্রামে স্বামীর বসতঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নূপুর ওই এলাকার ওমান প্রবাসী মোহাম্মদ উল্লাহ লিটনের স্ত্রী এবং সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের জামিরতলী গ্রামের ফখরুল ইসলামের পালক মেয়ে।
নূপুরের ছোট ভাই রাকিব হোসেন জানান, ২০২২ সালে দত্তপাড়া ইউনিয়নের করইতোলা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে প্রবাসী লিটনের সঙ্গে নূপুরের বিয়ে হয়। নূপুর তাদের পালক বোন, এই বিষয়টি জানতে পেরে নূপুরকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। যৌতুকও দাবি করত।
রাকিব হোসেন আরও জানান, বুধবার সকাল ৭টার দিকে তাঁর বোন তাঁকে ফোন করে নির্যাতনের কথা জানায়। পরে ৯টার দিকে তাঁর মৃত্যুর খবর পান তারা। তাঁর বোনকে হত্যা করে মৃতদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
নূপুরের মা মোবাশ্বেরা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করত। আমাদের বাড়িতে আসতে দিত না। পালক মেয়ে বলে সব সময় অপমান করত। আমি মেয়ের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এ টি এম কামাল উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন সময়ে নূপুরকে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করত বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যকেও জানিয়েছে নূপুর। এতে নাকি নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। তাই পরবর্তী সময়ে নূপুর বিষয়টি আর তাদের জানায়নি। তার মৃতদেহটি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝোলানো ছিল। এক পা খাটের সঙ্গে লেগে ছিল।
দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হবে।
- বিষয় :
- লক্ষ্মীপুর
- গৃহবধূর মরদেহ
- দত্তপাড়া