ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

১৪৪ ধারা জারি

আ.লীগের মিছিল-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা

আ.লীগের মিছিল-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা

মুক্তাগাছায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্তি পুলিশ। ছবি: সমকাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০৭:৫৯ | আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০৮:০৭

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় সোমবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এর ফলে পৌর এলাকায় আওয়ামী লীগের মিছিল ও সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যুবলীগ কর্মী আসাদুজ্জামান হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সোমবার ১৪৪ ধারা জারি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম লুৎফর রহমান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, সোমাবার এলাকায় ঝাড়ু মিছিলের কথা ছিল। স্থানীয় আওয়ামী লীগে দুটি পক্ষ থাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে থানার ওসি লিখিত আবেদন করেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। 

এর আগে রোববার রাতে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দেন। তাতে বলা হয়- ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের অন্তর্গত মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব সভা, সমাবেশ, মিছিল স্থগিত রাখার অনুরোধ করা গেল।

কিন্তু যুবলীগ কর্মী আসাদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবিতে সোমবার পূর্ব ঘোষিত ঝাড়ু মিছিলের প্রস্তুতি নেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। কিন্তু প্রশাসন তাদের মিছিল করতে দেয়নি।

মুক্তাগাছা থানার ওসি আবদুল মজিদ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। তার পরও লোকজন জড়ো হলে তাদের নিরাপদে চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এলাকায় অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মুক্তাগাছা উপজেলায় আওয়ামী লীগ দুটি ধারায় বিভক্ত। একটি গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হাই আকন্দ। তাঁর সঙ্গে দলের তৃণমূলের বড় একটি অংশ রয়েছে। অপর গ্রুপে নেতৃত্ব দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন সরকার। দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। গত পাঁচ মাসে বিভিন্ন যানবাহন স্ট্যান্ডে টাকা তোলা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, মারামারিসহ নানা ঘটনায় একাধিক মামলা হয়েছে।

গত ২৮ আগস্ট রাতে যুবলীগ কর্মী আসাদকে হাত-পা থেঁতলে হত্যা করা হয়। এর আগে ৭ জুলাই মারধরের শিকার হন তিনি। এ সময় যুবলীগ সভাপতি মনিরের কয়েকজন অনুসারীর বিরুদ্ধে তিনি মামলা করেন। আসাদের বিরুদ্ধেও তখন অন্য পক্ষ মামলা করে।

আসাদ হত্যায় গত বৃহস্পতিবার রাতে তাইব হাসান আনন্দ বাদী হয়ে মনিসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। পুলিশ  ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। 

আরও পড়ুন

×