ডুমুরিয়ায় ডুবল ঘের-ফসলের ক্ষেত, দুর্ভোগে ৩ ইউনিয়নের মানুষ

খুলনায় ভদ্রা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে চিংড়ি ঘের। সোমবার ডুমুরিয়া উপজেলার দিঘুলিয়া থেকে তোলা - সমকাল
ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০১:০৮ | আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০১:০৮
খুলনার ডুমুরিয়ার সাহস ইউনিয়নের দিঘুলিয়া গ্রামে ভদ্রা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি ঢুকে ২০০ বিঘা চিংড়ি ঘের ডুবে গেছে। এতে নষ্ট হয়েছে ৫০ বিঘা জমির সবজি ক্ষেত। তলিয়ে গেছে ১২টি পুকুর ও ৫০টি বাড়িঘর। এ ছাড়া ডুমুরিয়া-চরচটিয়া সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন ডুমুরিয়া, সাহস ও মাগুরখালী ইউনিয়নবাসী।
নোয়াকাটি গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম, গোলক ঢালী ও ফজলু মোল্লার ভাষ্যমতে, এক বছর আগে দিঘুলিয়া গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ২৯ নম্বর পোল্ডারে বেড়িবাঁধে ছিদ্র দেখা দেয়। এই ছিদ্র দিয়ে জোয়ারের সময় অল্প করে পানি ঢুকত। হঠাৎ গত রোববার সন্ধ্যায় জোয়ারের পানির তোড়ে বাঁধের প্রায় ৫০ ফুট ভেঙে যায়। এতে প্রবল বেগে পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। তলিয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা।
কৃষক উজ্জ্বল মণ্ডল ও গোলক ঢালীর দাবি, পাউবো আগে থেকে ব্যবস্থা নিলে এমন ক্ষতি হতো না। সাহস ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা মাহাবুবুর রহমান বলেন, গ্রামবাসী বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নিচ্ছে। স্থানীয় খুটাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহতাব হোসেন বলেন, বেড়িবাঁধ ভাঙার কারণে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে আসতে পারছে না।
খুলনা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাজকিয়া বলেন, গতকাল সোমবার বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। বাঁধে ছিদ্র ছিল, তা এত দিন জানা যায়নি। রোববার ভাঙনের স্থান পরিদর্শন করেন কর্মকর্তারা।
জোয়ারের পানিতে সবজি ক্ষেত, মাছের খামার, আমনের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইনসাদ ইবনে আমিন।