বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন সমাপ্ত, ৬ সিদ্ধান্ত

ছবি-সমকাল
যশোর অফিস
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৭:০৪ | আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৭:০৪
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে চার দিনের সীমান্ত সম্মেলন শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার যশোর শহরের একটি হোটেলে বিজিবির আঞ্চলিক কমান্ডার (রংপুর ও যশোর রিজিয়ন) এবং বিএসএফের ফ্রন্টিয়ার ইন্সপেক্টর জেনারেলদের (সাউথ বেঙ্গল, নর্থ বেঙ্গল ও গৌহাটি ফ্রন্টিয়ার) মধ্যে সমাপনী বৈঠক হয়। এবারের সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা, অনুপ্রবেশ, মাদক পাচার, স্বর্ণ ও অস্ত্র চোরাচালন রোধসহ ছয়টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আলোচনায় স্থান পেয়েছে সীমান্তের দেড়শ গজের মধ্যে উন্নয়নমূলক কাজ, সম্প্রীতি ও আস্থা বাড়ানোর বিষয়ও।
চার দিনের সম্মেলনের শেষ দিনে যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শেষ হয়। বিএসএফের সাত সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি আয়্যুষ মানি তিওয়ারি। অন্যদিকে ২১ সদস্যের বিজিবির নেতৃত্ব দিয়েছেন রংপুর অঞ্চলের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলম। সম্মেলন শেষে যৌথ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, এবারের সম্মেলনে ছয়টি বিষয়ে সিন্ধান্ত হয়েছে। এগুলো হলো– সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে বিএসএফের অঙ্গীকার, ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তে রাত্রিকালীন যৌথ টহল বাড়ানো, সীমান্তবর্তী এলাকার জনসাধারণের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, জনসচেতনতা ও জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ, অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদান এবং আন্তঃসীমান্ত অপরাধ (মাদক পাচার, অনুপ্রবেশ, মানব পাচার, স্বর্ণ চোরাচালান প্রভৃতি) রোধে সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন।
সম্মেলনে বিজিবির আঞ্চলিক সেক্টর কমান্ডার, স্টাফ অফিসার, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর এবং যৌথ নদী কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলে বিএসএফ নর্থ বেঙ্গল ও গৌহাটি ফ্রন্টিয়ারের আইজিরা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট সেক্টরের ডিআইজি, স্টাফ অফিসার, ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।
- বিষয় :
- বিজিবি
- বিএসএফ
- সীমান্ত সম্মেলন