ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

১৫ বছর পর জানলেন ভাতার অযোগ্য তিনি

১৫ বছর পর জানলেন ভাতার অযোগ্য তিনি

জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:০০

১৫ বছর বয়স্ক ভাতা পাওয়ার পর সম্প্রতি বয়স না হওয়ায় ভাতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অযোগ্য বিবেচিত হয়েছেন জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের গোবিন্দপুরের বাসিন্দা রইবুন বেগম। এ নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন সহায়-সম্পদহীন ওই বিধবা।

জানা যায়, প্রায় ২৬ বছর আগে স্বামীর মৃত্যুর পর অসহায় অবস্থায় পড়েন রইবুন বেগম। অসহায় এই নারী তখন বিধবা ভাতার জন্য জনপ্রতিনিধি ও কয়েকজন স্থানীয় নেতার কাছে যান। ২০১৬ সালে স্থানীয় এক নেতার সুপারিশে তাঁর নাম বিধবা ভাতার পরিবর্তে বয়স্ক ভাতার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এত বছর পর জানতে পারেন তাঁর ভাতার কার্ডটি তালিকা থেকে বাদ যাওয়ায় তিনি আর ভাতা পাবেন না। কারণ, বয়স্ক ভাতা পাওয়ার বয়স তাঁর হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন রইবুন বেগম।

জানা যায়, ২০২০ সাল পর্যন্ত কোনো ধরনের ভাতার বই ভেরিফিকেশনের আওতায় আসেনি। তখন অনেক জনপ্রতিনিধি কম বয়স্কদের ভোটার কার্ডের ফটোকপিতে বয়স বাড়িয়ে ভাতার তালিকায় নাম তুলেছিলেন। ২০২০ সাল থেকে এসব ভাতাপ্রাপ্ত মানুষের ভোটার তালিকা অনলাইনের মাধ্যমে তদন্ত করা হলে যাদের বয়স হয়নি তারা বাদ পড়েন। তাদেরই একজন রইবুন বেগম।

উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় চেয়ারম্যান থেকে যে তালিকা অফিসে পাঠানো হয়, সেই তালিকা চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচিত করা হয়। সেই তালিকায় অনেকের ভোটার কার্ডে বয়স বাড়িয়ে জমা দেওয়া হয়েছিল হাতে লেখা বইয়ের মাধ্যমে। তারা ভাতা উত্তোলন করেছেন।

আগে প্রতিবছর ইউনিয়নভিত্তিক বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা সীমিত ছিল। শতকরা ১০০ জন এসব ভাতার জন্য আবেদন করলে ১৫ থেকে ২০ পার্সেন্ট মানুষকে দেওয়া হয়। সম্ভবত বিধবা ভাতার তালিকার কোঠা খালি না থাকায় বয়স্ক ভাতার তালিকায় তাঁর নাম যুক্ত করা হয়েছিল।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, তখন অনেকেই ভোটার কার্ডে বয়স বাড়িয়ে ভাতা পেয়েছিলেন। অনলাইন ভেরিফিকেশনে এসব বাতিল করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

×