যুবলীগ নেতা এলিটের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, আটক ১

আবুল হাসনাত ওরফে হাবিব খান। ছবি: সংগৃহীত
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০১:৫৫ | আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০২:০৯
যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে একজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রোববার চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আবুল হাসনাত ওরফে হাবিব খানকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মেজ ছেলে মাহবুবুর রহমান রুহেলের ব্যক্তিগত সহাকারী এই হাবিব খান।
আটক আবুল হাসনাতের দেওয়া তথ্যসূত্র ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উপজেলার অপর অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মাস্টার ও মো. মাহফুজুল হক ওরফে লেবার জুনুর বাসায় অভিযান চালায়। কিন্তু তারা অভিযানের আগেই পালিয়ে যান। আরেক অভিযুক্ত মো. আনিসুর রহমান রিফাতসহ সবাই স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের অনুসারী বলে স্থানীয়রা জানায়।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে এমপিপুত্রে বিভক্ত আওয়ামী লীগ
জানা যায়, যুবলীগ নেতা এলিটের বিরুদ্ধে চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। এর প্রেক্ষিতে গত ৩ আগস্ট নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের প্রধান রাজনৈতিক সমন্বয়ক ও বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সভাপতি, যুবলীগ কর্মী মো. আছিফুর রহমান বনানী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ দায়ের করেন।
জাহাঙ্গীর হোসেন মাস্টার এবং আটক আবুল হাসনাত ওরফে হাবিব খানের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, চুরি ও ভাঙচুরের ঘটনায় মিরসরাই থানায় একাধিক মামলা চলমান। এসব মামলায় জাহাঙ্গীর হোসেন ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
মিরসরাইয়ে আটক হাবিব খানের সাইবার অপরাধী হিসেবে খ্যাতি রয়েছে। এর আগে সাইবার ট্রাইবুনালে প্রবাসী সিআইপি ফখরুল ইসলাম খানসহ অনেক ভুক্তভোগী হাবিব খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এবং মামলা করেন যেসব এখনও বিচারাধীন। এর আগে গত বছরের ১৯ নভেম্বর একই অভিযোগে আবুল হাসনাত ওরফে হাবিব খানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আশরাফুল কালাম মিঠু নামে একজনকে আটক করেছিল ডিবি পুলিশ। অভিযোগে হাবিব খানকে রাজাকার পরিবারের সন্তান এবং মিঠুকে ছাত্রদলের সাবেক অস্ত্রধারি ক্যাডার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। পরে প্রশাসনের মধ্যস্থতায় স্থানীয় সালিশের মাধ্যমে উভয় পক্ষের সম্মতিতে বিষয়টি মিমাংসা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে যুবলীগ কর্মী মো. আছিফুর রহমান বলেন, ‘আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের বিরুদ্ধ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। বিষয়টি নিয়ে আসামিদের বার বার সতর্ক করা হলেও তারা কর্নপাত করেননি। বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।’
আছিফুর বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর পাশাপাশি তারা বিভিন্ন সময় কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের বাড়িতে সশস্ত্র হামলাও করেছে। এমনকি গত ১৭ জুন মিরসরাইয়ে এলিটের নেতৃত্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচারের সময় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রচারনায় অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালায়।’