ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

ধর্ষণ মামলা

মামুনুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন আরও দু’জন

মামুনুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন আরও দু’জন

হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫:০০ | আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫:০৭

হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কথিত স্ত্রীর করা ধর্ষণের মামলায় আরও দু’জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। রোববার নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে এই সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

সাক্ষ্য প্রদানকারীরা হলেন–মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনারগাঁ থানার তৎকালীন পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম ও ডিএনএ পরীক্ষক রবিউল ইসলাম। এ নিয়ে এই মামলায় ৪০ সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দিলেন।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি রকিব উদ্দিন আহমেদ জানান, ডিএনএ পরীক্ষক রবিউল ইসলাম তাঁর সাক্ষ্যে আদালতে বলেন, রয়েল রিসোর্টের ৫০১ নম্বর কক্ষ থেকে জব্দ করা তোয়ালেতে পাওয়া শুক্রাণুর সঙ্গে মামুনুল হকের রক্তের ডিএনএর মিল পাওয়া গেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাঁর সাক্ষ্যে বলেছেন, রিসোর্টের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মামুনুল হকের কথিত স্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এখানে এনে ধর্ষণ করেছেন মামুনুল। 

রকিব উদ্দিন আরও জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আংশিক সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ধার্য তারিখে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরও সাক্ষ্য দেবেন। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা দু’জন সাক্ষীকে জেরা করেন। 

এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক নয়নের দাবি, দু’জন সাক্ষীকে আদালতে জেরা করার সময় তারা অনেক প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি। মামুনুল হককে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। 

এর আগে রোববার সকালে মামুনুলকে কড়া নিরাপত্তায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে নেওয়া হয়। ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে এক নারীসহ অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। পরে ওই রিসোর্ট ভাঙচুর করে তাকে ছিনিয়ে নেয় অনুসারীরা। একই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। এরপর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী।


আরও পড়ুন

×