ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

সাঁথিয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্প

বর্ষা এলেই ঘরে হাঁটুপানি চরম দুর্ভোগে বাসিন্দারা

বর্ষা এলেই ঘরে হাঁটুপানি চরম দুর্ভোগে বাসিন্দারা

সাঁথিয়ার ঘুঘুদহ গ্রামে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর

জালাল উদ্দিন, সাঁথিয়া (পাবনা)

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:০০

বর্ষাকাল এলেই সাঁথিয়ার একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো হাঁটু থেকে কোমরপানিতে ডুবে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন এর দরিদ্র বাসিন্দারা। অনন্যোপায় হয়ে বেশির ভাগ পরিবারই ঘরগুলো ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। বাকিরাও চলে যাওয়ার চেষ্টা করছে। নিচু জমিতে মাটি ভরাট না করে ঘর তৈরি করায় এ সমস্যা হয়েছে বলে জানান বাসিন্দারা। দুর্ভোগের এ চিত্র সাঁথিয়ার গৌরীগ্রাম ইউনিয়নের ঘুঘুদহ গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে। ২০২০-২১ অর্থবছরে এসব ঘর নির্মাণ করা হয়।

ভুক্তভোগীদের একজন দুলালী খাতুন সমকালকে বলেন,  ‘আমরা গরিব মানুষ। সরকার আমাগরে ঘর ও জমি দিছে খুব খুশি অইছি। কিন্তু বন্যার পানি ঘরের মদ্দি ঢুকে পড়ায় গ্যাদা পোলাপান নিয়্যে চলাচল করাত কষ্ট অয়।’

পানির কারণে ও সাপ পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় এরই মধ্যে প্রাণভয়ে আতঙ্কে ১৫টির মধ্যে ১০টি পরিবার আশ্রয়ণের ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। অন্যত্র যাওয়ার সামর্থ্য না থাকায় বর্তমানে দুলালী খাতুনসহ পাঁচটি পরিবার এখানে রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে বাকি পরিবারগুলোও হয়তো চলে যাবে।

বাসিন্দারা বলছেন, টয়লেটগুলো ডুবে যাওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছে পরিবারগুলো। বাসিন্দাদের চলাচলের জন্য নিজস্ব কোনো রাস্তা না থাকায়, তাদের যেতে হয় অন্যের জমির ওপর দিয়ে। এতে প্রতিবেশীরা বাধা দেয়। ফলে বিনা টাকায় ঘর পেয়েও ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন সুবিধাভোগীরা। আশ্রয়ণের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ঘরের ভেতর পানি আসায় আমার আড়াই বছরের বাচ্চা তানজিদ দু’বার পানিতে পড়ে গিয়েছিল। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছে। আমি এখানে আর থাকব না।’

আরও পড়ুন

×