ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

সেই সেতুর পাশে হচ্ছে না বিকল্প সড়ক

সেই সেতুর পাশে হচ্ছে না বিকল্প সড়ক

কাঁঠালবাড়ি এলাকায় বন্ধ হয়ে যাওয়া সংযোগ সড়ক। ছবি-সমকাল

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:০০

এক মাসেরও বেশি সময় আগে টানা বর্ষণে নির্মাণাধীন সেতুর পাশের বিকল্প সড়ক ভেঙে তলিয়ে যায়। এরপর থেকে সড়কটি দিয়ে দুই জেলার মধ্যে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। জয়পুরহাটের আক্কেলপুর এবং বগুড়ার সান্তাহার সড়কের কাঁঠালবাড়ি এলাকায় সেতুটির পাশে বিকল্প সড়ক নির্মাণ করা হবে না বলে জানিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

জানা গেছে, আক্কেলপুর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি এলাকায় পৃথক স্থানে ২০ ও ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় আট মাস আগে নওগাঁর বসুন্ধরা হাউস বিল্ডার্সের কাছ থেকে জয়পুরহাটের সাব-ঠিকাদার মাসুদ রেজা নির্মাণকাজ শুরু করে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ রয়েছে। কাজটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। পুরোনো সেতু দুটি ভাঙার আগে বিকল্প সড়ক নির্মাণ করা হয়। সে পথ দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য ইট বিছানো হয়েছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ আগস্ট রাত থেকে দু’দিনের ভারী বর্ষণে পাশের ফসলের মাঠ পানিতে ডুবে যায়। এর চাপে তলিয়ে গিয়ে স্রোতে ভেঙে যায় বিকল্প সড়ক। এরপর ড্রামের ভেলা বানানো হয়েছে। এতে কৃষকরা পারাপার হলেও যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সড়কটি বন্ধ থাকায় ভারী যানবাহন গোপীনাথপুর-রায়কালী সড়ক দিয়ে তিলকপুর হয়ে চলাচল করছে। ছোট যানবাহন আক্কেলপুর-কাশিড়া সড়ক দিয়ে তিলকপুর হয়ে সান্তাহারে যাচ্ছে। কেশবপুর-চুকাইবাড়ি হয়ে কাঁঠালবাড়িতে আসছেন অনেকে। চুকাইবাড়ি-কাঁঠালবাড়ি সড়ক অপ্রশস্ত হওয়ায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।

বিকল্প সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। জহুরুল ইসলাম বলেন, অনেক আগে পানি কমেছে। বিকল্প সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে না। সরাসরি সড়ক যোগাযোগ চালু হলে সবাই স্বস্তি পাবে। এ বিষয়ে বসুন্ধরা হাউস বিল্ডার্সের স্বত্বাধিকারী ফারুক রহমান বলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সে মাসুদ রেজা কাজ করছেন।

এ ই এম মাসুদ রেজা বলেন, সওজের কাজে বিকল্প সড়ক ও বেইলি সেতু নির্মাণের বরাদ্দ থাকে। কিন্তু এলজিইডির কাজে থাকে না। মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে দিন-রাত সমানে কাজ চলছে। আগামীকাল রোববার সেতুর পাটাতন ঢালাই দেওয়া হবে। পাঁচ থেকে সাত দিন পর একপাশ দিয়ে ছোট যানবাহন ও মানুষের চলাচল করতে দেওয়া হবে। বিকল্প সড়ক নির্মাণ করা হবে না।

এলজিইডির আক্কেলপুর উপজেলা প্রকৌশলী রকিব হাসান বলেন, সেতুর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। পাটাতনের ঢালাইয়ের কাজ হলে ছোট যানবাহন চলতে পারবে। তবে ভারী যানবাহন চলতে ঢালাইয়ের পর কমপক্ষে ২৮ দিন লাগবে। এটুকু মেনে নিয়েই চলাচল করতে হবে।

আরও পড়ুন

×