চাতলাপুর স্থল শুল্কস্টেশন
মাছ রপ্তানিতে ভোগান্তি, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২১:২৩ | আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২১:২৩
দেশের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভারতের ত্রিপুরাসহ অন্যান্য রাজ্যে রপ্তানি করা হচ্ছে। কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর হয়ে কুলাউড়ার চাতলাপুর স্থল শুল্কস্টেশন হয়ে এসব মাছ রপ্তানি করা হয়।
তবে এ কাজে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ সেখানকার ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকরা।
জানা গেছে, প্রতিদিন প্রায় ৫৫ থেকে ৬০ লাখ টাকার মাছ এই পথে ভারতে রপ্তানি হয়ে থাকে। এ কাজে বর্তমানে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এরইমধ্যে হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর সীমান্তে অবস্থিত চাতলাপুর স্থল শুল্কস্টেশন ও অভিবাসন কেন্দ্রের কার্যক্রম চলছে স্বাধীনতার আগে থেকে।
বাংলাদেশ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফামিন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী তাজদিক হোসেন ইমরান জানান, ১০ বছর ধরে কুলাউড়া চাতলাপুর স্থল শুল্কস্টেশন দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রপ্তানি করছেন। সম্প্রতি একটি গোষ্ঠী প্রায়ই কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও মৎস্য বিভাগকে ফোন করে জানাচ্ছে মাছের সঙ্গে অবৈধ পণ্য পাচার করা হচ্ছে। এতে করে চেকিংয়ের জন্য রপ্তানি করা পণ্যের গাড়ি আনলোড করে আবার লোড করতে হচ্ছে, যার কারণে সময় এবং শ্রমিক ব্যয় দুটিই বেড়েছে। সেই সঙ্গে মাছের মতো কাঁচা নষ্ট হওয়ায় ব্যবসায়ীদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, একই কারণে ভারতের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোরও সমস্যা হচ্ছে।
রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সামী অ্যান্ড সাবিত এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম ও মেসার্স জারা এন্টারপ্রাইজের মশিক মোল্লা জানান, তারা অনেক দিন ধরে বৈধভাবে ব্যবসা করছেন। এর আগে কখনও এমন হয়নি। এই স্টেশন দিয়ে মাছ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পরিকল্পিতভাবে কেউ এসব করছে বলে মনে করেন তারা। ভুয়া তথ্যের কারণে ব্যবসায়ী এবং পণ্যবাহী পরিবহনের চালক ও শ্রমিকদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
চাতলাপুর স্থল শুল্কস্টেশনের লেবার সর্দার আলমগীর হোসেন জানান, এই চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার জিনিসপত্র আমদানি ও রপ্তানি করা হয়। পণ্যগুলো তারাই লোড-আনলোড করে থাকেন। কিছুদিন ধরে ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন এটা সত্যি। এসব পণ্য একবার আনলোড করা হলে আবার লোড করতে অনেক হয়রানি। ভুয়া তথ্যের কারণে শুল্ক বিভাগও চেক না করে পণ্য ছাড়তে পারছেন না। সমস্যা সমাধানে সব পক্ষ মিলে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। নইলে দেশের ক্ষতি হবে।
চাতলাপুর স্থল শুল্কস্টেশনের কাস্টমস সুপারিনটেনডেন্ট রেজাউল হক জানান, ব্যবসায়ীরা যেন হয়রানির শিকার না হন সেদিকে তাদের নজর আছে। আমদানি-রপ্তানির মাধ্যমে দুই দেশের অর্থনৈতিক লাভের পাশাপাশি সুসম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারটিও এখানে জড়িত। সবাই মিলে চলমান পরিস্থিতিতে কী করণীয় তা নির্ধারণ করা হবে। সচেতন মহলকেও এ ব্যাপারে সাহায্য করতে হবে।