ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

অর্থাভাবে থমকে আছে বিভিন্ন প্রকল্প: সিসিক মেয়র

অর্থাভাবে থমকে আছে বিভিন্ন প্রকল্প: সিসিক মেয়র

সিলেট ব্যুরো

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৩ | ১৬:১৬ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩ | ১৬:১৬

সিলেট সিটি করপোরেশনে (সিসিক) অনুমোদন পেলেও সরকারি বরাদ্দ অর্থ না পাওয়ায় বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ থমকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বিশেষ করে সিলেটে ঘন ঘন ভূমিকম্পসহ বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় নেওয়া প্রকল্পের অর্থ ছাড় না দেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার নগর ভবনে দুর্যোগ মোকাবিলা বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বলেন, যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় সিটি করপোরেশনের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে ঘনবসতিপূর্ণ সিলেট মহানগরে বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে উদ্ধার কাজ ও প্রয়োজনীয় সহায়তার ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে। ইদানীং ঘন ঘন ভূকম্পন অনুভূত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সিসিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নগরীতে চারটি খেলার মাঠ বা খালি স্থান তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে। সরকার ৩০ ভাগ নিজস্ব অর্থ সংকুলানের শর্তে দুটি মাঠ প্রস্তুতের অনুমোদন দিলেও অর্থ বরাদ্দ দেয়নি। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। 

তিনি আরও বলেন, নগরীর ভূ-গর্ভস্থ পানির স্থর নিচে নেমে যাচ্ছে। প্রতিদিন ৮ কোটি লিটার পানির চাহিদা পূরণে দুটি সার্ফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পাশাপাশি গভীর নলকূপের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। যদিও ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে ভূমিকম্প ঝুঁকি বাড়ে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। এজন্য ৫০ এমএলডি উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সার্ফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল সিসিক। তবে দীর্ঘদিনেও সরকার অর্থ বরাদ্দ না দেওয়ায় এ কাজও থমকে আছে।

মেয়র জানান, বর্ধিত এলাকাসহ সিসিকের উন্নয়নে ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সরকারের কাছে প্রস্তাব করা হয়েছিল। সরকার এটি ১ হাজার ২০০ কোটি টাকায় নামিয়ে অনুমোদনও দিয়েছিল। তবে এখনও সে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। 

নগরীর ২৩টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার বিষয়ে তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের মামলার কারণে সিসিকের মালিকানাধীন ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় থাকা সিটি সুপারমার্কেটই ভাঙা যায়নি। একইভাবে বেশির ভাগ ভবন মালিক ও ব্যবসায়ীদের করা মামলার কারণে ভাঙা সম্ভব হচ্ছে না। 

আরও পড়ুন

×