ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

রাজাপুর

১০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও এনজিও

১০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও এনজিও

টাকা ফিরে পেতে এনজিও অফিসের সামনে ভিড় করেন গ্রাহকরা। ছবি: সমকাল

রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৩ | ১২:৫৭ | আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৩ | ১২:৫৭

ঝালকাঠির রাজাপুরে কয়েক হাজার গ্রাহকের ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা আল-হেমায়েত মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাওলানা রফিকুল ইসলাম। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রাহকরা গালুয়া ইউনিয়নের পাকাপোল বাজারে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। 

আল-হেমায়েত মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক। 

একাধিক গ্রাহক জানান, ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্থানীয় মাওলানা রফিকুল ইসলাম আকন, মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও মাওলানা হেলাল উদ্দিন প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন। এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী (পীর সাহেব কারীমপুর), চেয়ারম্যান মাওলানা রফিকুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মুফতি হেদায়েত উল্লাহ আনসারী, সাধারণ সম্পাদক মুফতি সৈয়দ তাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেলাল উদ্দীন। তারা বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ওয়াজ করার সময় বলতেন, ‘ব্যাংকে টাকা জমা রাখলে সেটা সুদ হয়। আলেম ওলামাদের প্রতিষ্ঠানে ইসলামী আইন অনুযায়ী টাকা রাখা হয়।’ এভাবে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করতেন। অল্পদিনের মধ্যেই কিছু গ্রাহককে মোটা অংকের মুনাফা দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতিষ্ঠানের প্রতি আগ্রহী করে তোলেন। হাজারো গ্রাহক এ প্রতিষ্ঠানে টাকা জমা রাখতে শুরু করেন। গত বৃহস্পতিবার সেই টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান।

এ বিষয়ে কথা বলতে মাওলানা রফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হয়। কিন্তু সাড়া মেলেনি। 

প্রতিষ্ঠানের ভাইস চেয়ারম্যান মুফতি হেদায়েত উল্লাহ আনসারী বলেন, আমি নামেই ভাইস চেয়ারম্যান। টাকা-পয়সার লেনদেন, জমি কেনাসহ সব বিষয় মাওলানা রফিকুল ইসলাম একাই পরিচালনা করতেন। এরপরও আমার মাধ্যমে যারা টাকা জমা রেখেছেন, তাদের বিষয়টি সমাধান করে নেব। এর বেশি আর কিছু বলতে চাননি হেদায়েত উল্লাহ আনছারী। 

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলক চন্দ্র রায় জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


আরও পড়ুন

×