ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশীপ ডায়ালগ

‘তামাবিল ইকোনেমিক জোনে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের সাড়া মেলেনি’

‘তামাবিল ইকোনেমিক জোনে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের সাড়া মেলেনি’

বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশীপ ডায়ালগ ১১তম রাউন্ডের তৃতীয় ও সমাপনী দিনের অধিবেশন। ছবি: সমকাল

সিলেট ব্যুরো

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৩ | ২০:৫৮ | আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৩ | ০৬:১২

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, সিলেটের তামাবিল ইকোনেমিক জোনের জন্য প্রস্তুত। এখানে বিনিয়োগ করে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুললে বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণ উপকৃত হবে। তবে এ ইকোনমিক জোন বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত রাখলেও তাদের (ভারতের বিনিয়োগকারীদের) কোনো সাড়া মেলেনি। 

শনিবার রাতে বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশীপ ডায়ালগ ১১তম রাউন্ডের তৃতীয় ও সমাপনী দিনের অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।  

হাইটেক পার্কে বিনিয়োগে ভারতের উদ্যোক্তাদের স্বাগত জানিয়ে ইমরান আহমদ বলেন, ‘আমরা হাইটেক পার্কে সব ধরণের সুযোগ-সুবিধাও রেখেছি। এসব জায়গায় যে কেউ এসে বিনিয়োগ করতে পারবেন।’ 

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের মেডিকেল ভিসা পাওয়া যতটা সহজ, অন্যান্য ভিসা ততটা কঠিন এবং সময় লাগে। তবে পর্যটক ভিসাও সহজ, কারণ সেখনে মানুষ ঘুরতে যায়।ওয়ার্কিং ভিসা নিয়ে ভারতে যাওয়ার খুব বেশি সুযোগ নেই। তবে ভারতীয়রা বাংলাদেশে কাজের জন্য আসে। 

সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ এর সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন-  ত্রিপুরার ডেপুটি চিফ মিনিস্টার জিশনো দেব বর্মন, আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অশিম কুমার উকিল। 

ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন- ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ ইন্ডিয়া চ্যাপ্টারের সভাপতি ডা. রাধা তমাল গোস্বামী। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারত ব্যতিক্রম। তারপরও এককভাবে কিছু করলে ভালো হয় না। তাই এই ফ্যাস্টিভাল দুই দেশের অনেক খুটিনাটি বিষয় সহজ করে দিয়েছে। এই আয়োজনের সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

৫ অক্টোবর শুরু হয় বাংলাদেশ-ভারত ৩ দিনের মৈত্রী উৎসব। হোটেল গ্র্যান্ড সিলেটে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন জতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন। অনুষ্ঠানে দুদেশের অতিথিবৃন্দ আলোচনায় অংশ নেন। বাংলাদেশের পক্ষে ৬ মন্ত্রী, ২০ জন সংসদ সদস্যসহ জাতীয় নেতারা অংশ নেন। ভারত থেকে ১৪০ জনের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেন। আলোচনা শেষে দুই বাংলার শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মনিপুর নৃত্য পরিবেশিত হয়। 

আরও পড়ুন

×