হত্যাকাণ্ডের শিকার সেই ভ্যানচালক

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৩ | ১৬:১৮ | আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২৩ | ১৬:১৮
ঘাটাইল উপজেলার চৈথট্র বটতলী এলাকা থেকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ভোরে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় কবির হোসেন নামে ভ্যানচালকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শুরু থেকেই পরিবার দাবি করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ নিয়ে ‘গলায় রশি পেঁচানো লাশ, হত্যার অভিযোগ’ শিরোনামে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সমকালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তবে স্বজনদের অভিযোগ, সে সময় হত্যা মামলা নেয়নি পুলিশ। তাই ২১ সেপ্টেম্বর কবির হত্যার বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। এ নিয়ে ‘হত্যা মামলা না নেওয়ার অভিযোগ, বিচার দাবি’ শিরোনামে ২২ সেপ্টেম্বর সমকালে আরও একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
অবশেষে কবিরের পরিবারের আশঙ্কাই সত্যি হলো। হত্যার ২৫ দিন পর গত ১১ অক্টোবর প্রকাশিত ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে প্রকাশ পায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন কবির হোসেন (২৭)। তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়ে ওইদিনই হত্যা মামলা নিয়েছে পুলিশ। বাদী হয়েছেন কবিরের চাচা হায়েত আলী।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, খাগরাটা গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে ইসমাইল ও নেওয়াজ আলীর ছেলে বাবুর সঙ্গে টাকাপয়সা নিয়ে বিরোধ ছিল কবিরের। হত্যার এক মাস আগে কবিরকে হত্যার হুমকি দেন তারা। তাই হত্যাকাণ্ডে ইসমাইল ও বাবু জড়িত থাকতে পারে। মামলার এক দিন পর ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের আবেদনে ইসমাইলের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঘাটাইল থানার উপপরিদর্শক আজহারুল ইসলাম সমকালকে বলেন, কবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন ইসমাইল।
বাদী হায়েত আলী বলেন, ‘শুরুতে পুলিশ হত্যা মামলা নিলে এতদিনে সব আসামি গ্রেপ্তার হতো। এতদিন এলাকাতেই ঘুরে বের হয়েছে আসামিরা। সন্দেহভাজন পাঁচজন এলাকা থেকে পালিয়েছে। এলাকায় অন্য মানুষ থাকলেও তারা কেন পালাল?’
সংগ্রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিনের ভাষ্য, আলামত দেখে তাঁর ধারণা ছিল, এটি হত্যাকাণ্ড। শুরু থেকে পুলিশ এটি নিয়ে কাজ করলে অবশ্যই সন্দেহভাজনদের আইনের আওতায় আনা যেত। কিন্তু পুলিশের কোনো তৎপরতা তাঁর চোখে পড়েনি।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।