পালকিতে নববধূ, হাঁটছিলেন বর, বন্ধুরা বেহারা

ছবি: সমকাল
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৩ | ১১:৩৪ | আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৩ | ১১:৩৪
পালকি গ্রামবাংলার ঐতিহ্য। গ্রামে বিয়ে হলেই পালকির ডাক পড়ত। কনে পালকিতে বসতেন। চার বেহারা তাকে বহন করত আর ছন্দে ছন্দে বিয়ের সারি গান গাইত। বরযাত্রীরা পালকির পেছন পেছন ছুটত। এক অন্য রকম আনন্দ ছিল তখন।
সোমবার এমনই দৃশ্য দেখা গেছে নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসভার দক্ষিণ নারিবাড়ি মহল্লায়। বরের পরনে ঘিয়ে রংয়ের শেরোয়ানি, মাথায় পাগড়ি। সঙ্গে কয়েকশ বরযাত্রী নিয়ে লাল শাড়ি পড়া নববধূকে পালকিতে করে নিয়ে যাচ্ছেন নিজ বাড়িতে। চার বেহারার বেশে পালকি বহন করছিলেন বরের বন্ধুরা।
এ বিয়ের বর গুরুদাসপুর পৌরসভার দক্ষিণ নারিবাড়ি মহল্লার আফাজ উদ্দিনের ছেলে সাগর আলী। কনে একই মহল্লার আলাল উদ্দিন সরদারের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার তুইশি। উভয়ের পরিবারের ইচ্ছে ছিল ছেলেমেয়েদের বিয়ের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখবেন। ছেলে ঘোড়ায় চড়ে শ্বশুরবাড়ি যাবে। কনে আসবে পালকিতে চড়ে। সোমবার ছিল বিয়ের দিন। দুপুরে ঘোড়ায় চড়ে নিজ বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে বরযাত্রী। সেখানে নানা নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে পালকিতে করে কনেকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন সাগর আলী। ঘোড়ায় চড়া বর ও ফুল দিয়ে সাজানো গ্রামীণ পালকিতে থাকা বউ দেখতে শত শত নারী-পুরুষ ও শিশু বিয়ে বাড়িতে ভিড় জমায়।
কনের ভাই প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রয়াত বাবার ইচ্ছে পূরণ করতে বোনের বিয়েতে পালকির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে প্রাচীন ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার কাজটিও হয়ে গেল।
বর সাগর আলী ও কনে সুমাইয়া আক্তার তুইশি বলেন, ‘পরিবারের ইচ্ছেতেই এ ধরনের আয়োজন। ঐতিহ্য ধরে রাখতে এমন সুন্দর আয়োজন তাদের মুগ্ধ করেছে।’
- বিষয় :
- পালকি
- গুরুদাসপুর
- নববধূ