৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন ছাত্রলীগ নেতার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের ৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছে অপর এক ছাত্রলীগ নেতা। এতে অজ্ঞাত আরও ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার আবেদনে হামলা, মারধর, হত্যাচেষ্টা, স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাই, মোবাইল ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ এনেছেন আরব হোসেন নামে ওই ছাত্রলীগ নেতা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক।

নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমীন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার আবেদনে অভিযুক্তরা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদ্য গঠিত কমিটির পদবঞ্চিত নেতাসহ তাদের অনুসারী। এ ছাড়া অভিযোগকারী নবগঠিত কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

মামলার আবেদনে রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি কাজী আমিনুল হক লিংকন, বর্তমান কমিটির সহসভাপতি শাহীনুল ইসলাম সরকার ডন ও তাওহীদুল ইসলাম দুর্জয়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ ও শামীম হোসেন, শাহ মখদুম হল শাখা ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক মো. তানজিল হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।

এ ছাড়া মামলার আবেদনে অভিযুক্ত ৩ ছাত্রলীগ কর্মী হলেন আরবি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শামিম মাহবুব সজীব, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মইনুল ইসলাম তপু।

মামলার আবেদনে আরব হোসেন অভিযোগ করেন, অভিযুক্তরা সংঘবদ্ধ হয়ে তার ওপর হামলা চালায়। তারা জিআই পাইপ ও লোহার রড দিয়ে তাকে মারধর করে। এতে তিনি মাথা ও চোয়ালে গুরুতর আঘাত পান। এ সময় অভিযুক্তদের মধ্যে তানজীল হোসেন তার গলার চেইন ছিনিয়ে নেয়। জিআই পাইপ দিয়ে রাজুর আঘাতে তার মোবাইল ফোন ভেঙে যায়। একপর্যায়ে তাদের হাত থেকে পালিয়ে গেলে অভিযুক্তরা তাকে ধাওয়া দেয়। পরে তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সদ্য ঘোষিত রাবি শাখা ছাত্রলীগের কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে গত ২২ অক্টোবর কাজী লিংকন, সরকার ডন, তাওহীদুল দুর্জয়, নিয়াজ মোর্শেদসহ প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতারা ছাত্রলীগের দলীয় টেন্টে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এদিন বেলা ১২টার দিকে সাবেক সহ-সম্পাদক আরব হোসেন মোটরসাইকেলে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে আসেন। এ সময় অভিযুক্তরা তার ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে পদবঞ্চিত নেতা ও তাদের অনুসারীরা তাকে মারধর করে ধাওয়া দেন।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, মামলার আবেদন পেয়েছি। এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ নেওয়া হবে।