নিহত পারভেজের স্ত্রী
‘এখন মেয়েকে কীভাবে পুলিশ অফিসার বানাবো!’

নিহত পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজের স্ত্রী ও তার মেয়ে। ছবি: সমকাল
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৩ | ০১:৪৫ | আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৩ | ০১:৪৫
‘মেয়েকে এখন কে পুলিশ অফিসার বানাবে, আমাদের এখন কি হবে, তোমাকে কেন হত্যা করা হলো!’ এভাবেই বিলাপ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে নিহত পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজের স্ত্রী রুমা আক্তার। সোমবার বিকেলে দৌলতপুর প্রমোদা সুন্দরী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে যখন স্বামীর মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে মাঠের উত্তর দিকে মেয়ে তানহাকে কোলে নিয়ে একটি চেয়ারে বসে বিলাপ করেন রুমা।
পারভেজের স্ত্রী রুমা আক্তার সমকালকে বলেন, তাদের বিয়ে হয়েছে ৮ বছর আগে। স্বামীর কর্মস্থল ঢাকায় হওয়ার কারণে তিনি একমাত্র ৭ বছরের মেয়ে তানহাকে নিয়ে ঢাকার শাজাহানপুর এলাকায় বাসাভাড়া থাকেন। স্বামী পুলিশের কনস্টেবল হলেও তার মেয়েকে সে পুলিশের বড় অফিসার করার স্বপ্ন দেখতেন।
তিনি জানান, মেয়েকে ভর্তি করা হয়েছে মতিঝিল কলোনি স্কুলে। তাদের সুখের সংসার ছিলো। কিন্তু বিএনপির সমাবেশে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তার স্বামীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এসময় অনেক মানুষ ও পুলিশ ছিলো কিন্ত কেউ তার স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। তিনি রাষ্ট্রের কাছে স্বামীর হত্যারকারীদের বিচার দাবি করেন।
তার স্বামী দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন, তার একমাত্র মেয়ের ভবিষ্যত এখন কি হবে?-বিলাপ করে রুমা বলেন, ‘স্বামীর স্বপ্ন ছিলো মেয়েকে পুলিশ অফিসার বানাবে, সেই স্বপ্ন এখন আমি কীভাবে বাস্তবায়ন করবো।’
এদিকে পারভেজের বোন শেফালির দাবি, তাদের ভাই ছিলো সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। এখন তাদের সংসার কীভাবে চলবে তা নিয়ে তারা চিন্তিত।