ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

সামাজিক দূরত্ব মানছেন না সাদুল্যাপুরের মানুষ, আক্রান্ত ৩

সামাজিক দূরত্ব মানছেন না সাদুল্যাপুরের মানুষ, আক্রান্ত ৩

সাদুল্যাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২০ | ০০:৫৫

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলায় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিনজন। এর মধ্যে দুইজন নারী ও একজন পুরুষ। আক্রান্তদের মধ্যে এক নারীসহ দুইজন পোশাক শ্রমিক। তারা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রামের বাড়ি এসেছেন। দুই পোশাক শ্রমিক উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের বড়ছত্রগাছা ও হিঙ্গারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। অন্যজন উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের হবিবুল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা। উপজেলায় তিন জন করোনা আক্রান্ত হলেও মানুষ মানছে না সামাজিক দূরত্ব। 

প্রতিদিনই প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও মানুষকে সামাজিক দূরত্বের বিষয় বোঝানো যাচ্ছে না। হাট-বাজারে গেলে মনে হয় না এটি লকডাউন ঘোষিত এলাকা। 

উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহিনুর ইসলাম মন্ডল বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুইজন ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ফেরত। অন্যজন আক্রান্ত হয়েছিলেন বিদেশ ফেরত আত্মীয়ের সংস্পর্শে এসে। আক্রান্তরা আইসোলেশনে আছেন। তিনি জানান, বুধবার পর্যন্ত এ উপজেলায় ৮৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আর ২৯৭ জন আছেন হোম কোয়ারেন্টাইনে। 

সাদুল্যাপুর থানার ওসি মাসুদ রানা বলেন, মানুষকে কোনভাবেই সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি বোঝানো যাচ্ছে না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হাজির হলে সবকিছু ফাঁকা হয়। আবার  পুলিশ চলে গেলে মানুষও জটলা শুরু করে। বিশেষ করে গ্রামের মানুষ বেশি সমস্যা করছে। হাট-বাজারে সামাজিক দূরত্বে থেকে জিনিসপত্র কেনার কথা বলা হচ্ছে। মানুষ সেগুলো মানছে না। এরপরও পুলিশের পক্ষ থেকে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এ উপজেলার দুই হাজারের বেশি মানুষ পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। বর্তমানে তারা প্রায় সবাই বাড়িতে। পোশাক শ্রমিকরা বাড়ি এসে হোম কোয়ারেন্টাইন মানছেন না। তাই এলাকায় করোনা সংক্রমণে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা পোশাক শ্রমিকরাই বড় আতঙ্কের হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নবীনেওয়াজ জানান, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ অন্যান্য স্থান থেকে যারা বাড়িতে আসছেন, তাদের ১৪ দিন ঘরে থাকার জন্য মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে। এছাড়া স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও সচেতন মহলও প্রচারণার কাজ করছেন।   

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার পর এই পর্যন্ত সাদুল্যাপুর উপজেলায় ৮৭ মেট্রিক টন চাল এবং ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। শিশুখাদ্য বাবদ ১ লাখ ২৯ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে তালিকা করে এগুলো বিতরণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

×