সাব-রেজিস্ট্রার নেই, জমি কেনাবেচায় ভোগান্তি
সাটুরিয়ায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

ছবি: সমকাল
সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৪ | ১১:১৩ | আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৪ | ১২:১২
সাটুরিয়ায় প্রায় এক বছর ধরে স্থায়ী সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন জমি বিক্রেতা ও গ্রহীতারা। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন দলিল লেখকরা। জমি বিক্রি কমে যাওয়ায় সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব।
সাটুরিয়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিস সহকারী ছানোয়ারা বেগম বলেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে খণ্ডকালীন সাব-রেজিস্ট্রার দিয়ে অফিস চলছে। সপ্তাহে এক দিন বা দু’দিন অফিস করেন খণ্ডকালীন সাব-রেজিস্ট্রাররা। তারা মানিকগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে সপ্তাহে এক বা দু’দিন অফিস করে থাকেন। সাব-রেজিস্ট্রার অভিজিৎ কর বদলিজনিত কারণে দুই শতাধিক দলিলে স্বাক্ষর করে যেতে পারেননি। প্রতিদিনই দাতারা দলিলের জন্য এলেও দলিল পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে জেলা সাব-রেজিস্ট্রারকে জানানো হয়েছে। বর্তমানে শিবালয় উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার আশীষ কুমার সরকার সপ্তাহে দু’দিন অফিস চালাচ্ছেন।
উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক সমিতির আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্থায়ী সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন উপজেলায় শতাধিক দলিল লেখক। তারা অফিসের সামনে ঘর ভাড়া নিয়ে দলিল সম্পাদন করে থাকেন। সাব-রেজিস্ট্রার প্রতিদিন অফিসে না আসায় দলিল লেখকদের আয় হচ্ছে না। তারা খুব কষ্টে জীবনযাপন করছেন। এক বছর ধরে এ অফিসে স্থায়ী সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় সরকার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার সাটুরিয়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে দেখা যায় অফিস বন্ধ। অফিসের ভেতর নকলনবিশ বসে কাজ করছেন। কিন্তু দলিল লেখকদের অফিস ঘর সব বন্ধ। তিল্লি ও বরাইদ থেকে দুটি দলিল করতে আসেন ১৫ থেকে ২০ জন মানুষ। প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূর থেকে এসে দলিল করতে না পেরে ফেরত যান তারা। এভাবে প্রতিদিনই দলিল করতে এসে মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে।
দলিল লেখকদের অভিযোগ, একটি দলিল করতে অনেক নথিপত্র সংগ্রহ করতে হয়। যেমন ব্যাংক ড্রাফট, প্রয়োজনীয় দলিলপত্র ও নামজারির খাজনা রশিদ। এ ছাড়া এসএআরএস পাকা পর্চা লাগে। দেখা গেছে, কোনো দলিল গ্রহীতা বা দাতা একটি কাগজ ভুলক্রমে আনেননি। সে ক্ষেত্রে সেদিন আর দলিল করা যায় না। একজন দলিলের দাতা বা গ্রহীতার সঙ্গে ১০ থেকে ১৫ জন আসে। এতে অনেক খরচ বহন করতে হয় তাদের। প্রতিদিন অফিস হলে দাতা-গ্রহীতাদের এ ক্ষতি হতো না। সাটুরিয়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে একজন স্থায়ী সাব-রেজিস্ট্রারের দাবি দলিল লেখকদের।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা সাব-রেজিস্ট্রার জাহিদ হোসেন বলেন, সারাদেশেই বিভিন্ন জায়গায় সাব-রেজিস্ট্রারের পদ শূন্য রয়েছে। যে কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই সাটুরিয়া অফিসের সমস্যা সমাধান করা হবে বলে জানান তিনি।
- বিষয় :
- সাটুরিয়া
- সাব-রেজিস্ট্রার