কুড়িগ্রামে বইছে মৌসুমের তৃতীয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। আজ রোববার সকাল ১০টায় সদর উপজেলার পাঁচগাছি এলাকা থেকে তোলা। ছবি: সমকাল
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৪ | ১৫:১৫ | আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৪ | ১৫:৩০
উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় আবারও জবুথবু অবস্থা হয়ে পড়েছে নদ-নদী দ্বারা বেষ্টিত উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রাম।
তিন দিন ঝলমলে সূর্যের মুখ দেখার পর এ জেলার উপর দিয়ে আবারও বইছে চলতি শীত মৌসুমের তৃতীয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। মাঘের প্রথম সপ্তাহে হাঁড় কাঁপানো হিমেল বাতাসে আর ঘন কুয়াশার ঠান্ডায় বিপর্যস্ত শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থাকায় আজ আবারও কুড়িগ্রামের ১ হাজার ২৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৮৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২২২টি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ রোববার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ঘনকুয়াশার চাদরে ঢাকা এ জেলায় আজ বেলা ১২টা পর্যন্ত দেখা যায়নি সূর্যের। ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যান-বাহনগুলো। সকালে জেলার ভুরুঙ্গামারীতে ঘন কুয়াশার কারণে একটি সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে বাবা-ছেলে মারা যান।
দিনের বেলাতেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। গরম পোষাকের অভাব দেখা গেছে জেলার চরাঞ্চলগুলোতে। সরকারি-বেসরকারিভাবে কম্বল বিতরণ করলেও চাহিদা বেশি গরম পোষাকের। বিশেষ করে শিশুদের মাফলার, মোজা, টুপি, চাদর, সোয়েটার এসব বেশি প্রয়োজন।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর ইয়ুথনেটের বাসিন্দা মাসুদ রানা বলেন, ‘৩-৪ দিন থাকি ঠান্ডাটা একনা কম ছিলো, রইদ উঠছিলো। আজ সকাল থাকি ফির রইদের দেখা নাই। নদীর মাঝত বাড়ি হামার ঠান্ডা বাতাসটা খুব নাগে।’
এ চরের আরেক বাসিন্দা রশিদ আলী বলেন, ‘পৌষ মাস গেলো, মাঘ পড়ছে। চেয়ারম্যান-মেম্বার কন কাই্যয়ো কম্বল ধরি আসে নাই। হামার এই ঠান্ডাতে জীবন বাঁচে না।’
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলার উপর দিয়ে চলতি শীত মৌসুমের তৃতীয় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আগামী দুই-তিনদিন অব্যাহত থাকবে।’
কুড়িগ্রাম জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, চলমান শীতে এখন পর্যন্ত জেলার ৯ উপজেলায় ৭০ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কম্বলগুলো পর্যায়ক্রমে বিতরণের কাজ চলমান। পাশাপাশি শীতে কর্মহীন মানুষদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’
- বিষয় :
- কুড়িগ্রাম
- মৃদু শৈত্যপ্রবাহ