হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় কাহিল কুড়িগ্রামের মানুষ
তাপমাত্রা ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস

ঘনকুয়াশায় দিনেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৪ | ১৩:৫৬ | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৪ | ১৬:৩০
উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় কুড়িগ্রামে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। জেলার ওপর দিয়ে রোববার থেকে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। মাঘের প্রথম সপ্তাহে হাড়কাঁপানো হিমেল বাতাস আর ঘনকুয়াশায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন অনেকটা কাহিল। চরাঞ্চলগুলোতে এখনও শীতবস্ত্রের ঘাটতি রয়েছে। সোমবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থাকায় বৃহস্পতিবার থেকে কুড়িগ্রামের ১ হাজার ২৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৮৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২২২টি মাদ্রাসায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
ঘনকুয়াশার কারণে কুড়িগ্রামে আজ বেলা ১২টা পর্যন্ত দেখা যায়নি সূর্যের। দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। চিলমারী ও মোগলবাসা নৌ-ঘাট থেকে ২ ঘণ্টা দেরিতে নৌযানগুলো ছেড়ে গেছে। এছাড়া তীব্র ঠান্ডার কারণে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বৃদ্ধি পেয়েছে শীতজনিত রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় শিশু ও বৃদ্ধসহ নতুন করে ২৫ জন রোগী শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় ভর্তি হয়েছেন।
চিলমারী নৌ-বন্দরের মাঝি ভবেশ চন্দ্র বলেন, নদীর মাঝে কুয়াশার কারণে কিছু দেখা যায় না। সকাল সাড়ে ৮টার নৌকা ছেড়েছে পৌনে ১১টায়।’
রৌমারী থেকে কুড়িগ্রাম আসা যাত্রী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আজ সকালে রৌমারী থেকে ২ ঘণ্টার মতো দেরিতে নৌকা ছাড়ছে। ঘনকুয়াশার কারণে চরে নৌকা কয়েকবার আটকা পড়ে। খুব বিড়ম্বনা হয়েছে।
জেলা শহরের কালীবাড়ি এলাকার ঘোড়ার গাড়ি চালক মোজ্জামেল হোসেন বলেন, ‘জারতে (শীত) কাজ কাম করা না যায়। ঠান্ডাতে বাইরত বেরা খুব মুশকিল হয়া গেইছে। কামত না বেড়ালে পেট চলবে কেমন করি।’
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, সোমবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা এ বছর শীতে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা। তাপমাত্রা কম থাকায় আগামী দুই-তিন দিন শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।’
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন জানান, শৈত্যপ্রবাহ থাকলে সব স্কুল বন্ধ থাকবে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে স্কুল খুলবে। এ রকম একটি চিঠি জেলার ৯ উপজেলায় দেওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, চলমান শীতে এখন পর্যন্ত জেলার ৯ উপজেলায় ৭০ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো পর্যায়ক্রমে বিতরণের কাজ চলছে। পাশাপাশি শীতে কর্মহীন মানুষদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
- বিষয় :
- কনকনে ঠান্ডা
- কুড়িগ্রাম
- মৃদু শৈত্যপ্রবাহ