ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

পুলিশ-গ্রাম পুলিশকে কুপিয়ে পালানোর চেষ্টা আসামির

পুলিশ-গ্রাম পুলিশকে কুপিয়ে পালানোর চেষ্টা আসামির

ফাইল ছবি

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ | ১৯:৫৮

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত এক আসামি ধরতে গিয়ে হামলায় আহত হয়েছেন পুলিশ ও গ্রাম পুলিশের সদস্যসহ ছয়জন। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটে এ ঘটনা। আসামি জিয়াউর রহমান (৪৫) অভিযানে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের কুপিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। অতিরিক্ত পুলিশ তাকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

পুলিশ জানায়, বাঁশখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মং থোয়াই হ্লা চাকের নেতৃত্বে মঙ্গলবার রাতে জিয়াউরকে ধরতে তার বাড়িতে যায় পুলিশের একটি দল। এ সময় তার বাড়ির লোকের হামলায় আহত হন এসআই মং থোয়াই হ্লা চাক, পুলিশ সদস্য আনোয়ার হোসেন ও মো. ইব্রাহিম। পুলিশ সদস্যরা গ্রামবাসীর সহায়তায় ওই বাড়ি ঘেরাও করে থানায় সংবাদ দেন। 

থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধাংশ শেখর হাওলাদার ও এসআই তোফাজ্জলের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় জিয়াকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানালে সে অস্বীকৃতি জানায়। এক পর্যায়ে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সদস্য নাসিরের মাধ্যমে তাকে বাড়ি থেকে বের হতে বলা হয়। জিয়া দরজা খুলেই নাসিরকে দা দিয়ে কোপ দেয় ও অন্য পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। পুলিশ এ সময় দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পালানোর চেষ্টার সময় জিয়া গাছে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায়। সে চোখে আঘাত পায়। অন্যদিকে গ্রাম পুলিশ সদস্য নাসির কানের নিচে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। 

পরে পুলিশ জিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে শয়নকক্ষের তোশকের নিচ থেকে দেশীয় ওয়ানশুটার গান ও দুই রাউন্ড গুলি জব্দ করে। তাকে চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠায়। 

বাঁশখালী থানার ওসি মো. তোফায়েল আহমেদের ভাষ্য, জিয়াউর রহমান ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ ধারালো অস্ত্র নিয়ে বঙ্গভবনে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। বাধা পেয়ে সে পুলিশের ওপর হামলা করে কুপিয়েছিল কয়েকজনকে। তখন তার বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা হয়। এ ছাড়া ডিএমপির আওতায় তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা চলছে। জামিনে এসে পালিয়ে যায় সে।

আরও পড়ুন

×