ক্লাসে মহানবীর বিয়ের উদাহরণ, শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ
কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ

কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ - ফাইল ছবি
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৪ | ১৬:৩১ | আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৪ | ১৬:৩৪
মানিকগঞ্জে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের গাইনী বিভাগের এক সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননা ও ইসলাম বিদ্বেষী কথা বলার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার কলেজের শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের ক্লাশ বর্জনসহ তার শাস্তির দাবিতে অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষককে ক্লাশ থেকে সাময়িক স্থগিত ও ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কলেজের গাইনী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. প্রতিমা রানী বিশ্বাস ক্লাসে শিক্ষার্থীদের দাড়ি, টুপি, পাঞ্জাবি, বোরকা ও হিজাব নিয়ে কথা বলে আসছেন। এমনকি একজন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার সময় নিকাব খুলতে বাধ্য করেন। সর্বশেষ গত ১৩ মার্চ গাইনী ওয়ার্ডে ক্লাস নেওয়ার সময় ওই শিক্ষক কার্সিনোমা সার্ভিক্স এবং বেশি বয়সী নারীর সঙ্গে কম বয়সী পুরুষের বিয়ে হলে কী ধরনের সমস্যা হয়, তা বুঝাতে গিয়ে তিনি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর বিয়ের উদাহারণ দেন।
এ ঘটনায় কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী ও ইন্টার্ণ চিকিৎসকবৃন্দ কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর ধর্ম অবমাননার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ১৪ মার্চ মৌখিকভাবে ও শনিবার লিখিত অভিযোগ দেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে ডা. প্রতিমা রানী বিশ্বাস জানান, তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়। তিনি গাইনী ক্লাশে বয়স্ক নারীর বিয়ে হলে কী সমস্যা হয় সে বিষয়ে একটি উদাহরণ দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি না বুঝেই তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনেছেন।
কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জাকির হোসেন সমকালকে বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বিষয়টি অবগত হয়ে ওই শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তারপরও আমরা ওই শিক্ষককে ক্লাশ থেকে সাময়িক বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ছাড়াও ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।