ব্যাংকের নিলামে বেচা জমির মালিকানা দাবি কাউন্সিলরের

ফরিপুর পৌরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মৃধার সংবাদ সম্মেলন - সমকাল
ফরিদপুর অফিস
প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৪ | ২২:৩৯
ইস্টার্ন ব্যাংকের কাছ থেকে নিলামে ১০ শতাংশ জমি কেনেন মিঠুন খান ও হাবিবুর রহমান নামে দুই ভাই। তারা সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের পান্নু খানের ছেলে। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে সেই জমির মালিকানা দাবি করেছেন ফরিপুর পৌরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মৃধা। তিনি ফরিদপুর শহর শাখা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়কও।
ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় ‘বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্তৃক জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবৈধ দখলের প্রচেষ্টা’র প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনটি করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে নজরুল মৃধা বলেন, ‘ফরিদপুর কোতোয়ালি থানাধীন ১১৬ নম্বর কমলাপুর মৌজার আমমোক্তার দলিলমূলে প্রাপ্ত ১০ শতাংশসহ মোট ১৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ জমি ১২ বছর যাবত ভোগদখলে আছি। এ অবস্থায় গত ১৭ মার্চ সকালে ১২০ থেকে ১৩০ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী আমার বসতবাড়ি, জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করার চেষ্টা করে।’
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল ইসলাম পিকুল। নজরুল মৃধা জানান, ন্যায়বিচার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে মামলা করা হয়। এতে নালিশি মৌজার জমিতে স্বত্ব স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ছয় মাসের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
ইস্টার্ন ব্যাংক ফরিদপুর শাখা সূত্রে জানা যায়, ওই ১০ শতাংশ জমি বন্ধক রেখে অর্থঋণ নিয়েছিলেন জেলা সদরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের ভাসানচর গ্রামের বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম মিরাজ। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মিরাজের ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ৩১ লাখ ২৩ হাজার ৩৯৮ টাকা। পরবর্তী সময়ে ঋণ পরিশোধ না করায় ফরিদপুর যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত ও অর্থঋণ আদালতে মামলা করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পরে জমিটি নিলামে তোলা হয়। নিলামের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৫১ লাখ টাকা দিয়ে ওই ১০ শতাংশ জমি কেনেন মিঠুন ও হাবিবুর। ব্যাংক ২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর জমিটি তাদের কাছে হস্তান্তর করে।
গত ১৭ মার্চ ৬০ জন শ্রমিক নিয়ে ওই জমিতে সীমানা দেয়াল নির্মাণ করতে গেলে কাউন্সিলর নজরুল মৃধার নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা হয়। এতে মিঠুন-হাবিবুর ও চার শ্রমিক আহত হন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিঠুন খান বলেন, ‘আমি ব্যাংকের মাধ্যমে জমিটি কিনেছি। এর পর থেকেই ওই জমি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দখলে রেখেছেন নজরুল মৃধা। জমি দখলে নিতে দেওয়া হচ্ছে না।’ কোতোয়ালি থানার ওসি হাসানুজ্জামান বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
- বিষয় :
- জমি সংক্রান্ত বিরোধ