ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

কেশবপুর

চার মাস ধরে খোঁড়া হয়েছে রাস্তা, দুর্ভোগ

চার মাস ধরে খোঁড়া হয়েছে রাস্তা, দুর্ভোগ

কেশবপুরে খুঁড়ে রাখা রাস্তায় জমে থাকা বৃষ্টির পানি। ছবি: সমকাল

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৪ | ২০:০০

যশোরের কেশবপুরে পাঁজিয়া ইউনিয়নের নুড়িতলা-গড়ভাঙ্গা মাটির রাস্তা পাকা করতে চার মাস ধরে খুঁড়ে রাখা হয়েছে। সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে খুঁড়ে রাখা ওই রাস্তা। এতে ১০ গ্রামের মানুষকে যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। 

এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নুড়িতলা-গড়ভাঙ্গা মাটির রাস্তা দিয়ে বেলকাটি, সাগদত্তকাটি, পাঁচবাকাবর্শী, গড়ভাঙ্গা, ইমাননগর, মুজগুন্নিসহ ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। ওই রাস্তার ইশরাত আলী মাস্টারের বাড়ি হতে গড়ভাঙ্গা বাজার পর্যন্ত ৮৬০ মিটার পাকাকরণের কাজ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে শুরু হয়। যশোরের বনান্তর ট্রেডিং নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাস্তা পাকাকরণের কাজ পেয়েছে। কার্যাদেশ অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ওই কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু কাজে ধীরগতির কারণে চার মাস আগে রাস্তা খুঁড়ে রেখে বর্তমানে বালু ফেলার কাজ চলছে। গত সপ্তাহে তিন দিন বৃষ্টি হওয়ায় জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে খুঁড়ে রাখা ওই রাস্তা। যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

শুক্রবার সরেজমিন দেখা যায়, খুঁড়ে রাখা রাস্তায় পানি জমে যাচ্ছে। রাস্তাটি চলাচল উপযোগী রাখতে স্থানীয় বেলকাটি গ্রামের জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মশিয়ার রহমানকে জলাবদ্ধ রাস্তার পানি সেচ দিতে দেখা যায়। এ সময় তিনি বলেন, দীর্ঘদিন রাস্তা খুঁড়ে রাখার কারণে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সড়কের কাজ চলছে খুবই ধীরগতিতে।

পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম বুলু বলেন, রাস্তাটি পিচ ঢালাই দিয়ে পাকাকরণের জন্য গত বছর ডিসেম্বর মাসে খুঁড়ে রাখা হয়। এতে ১০ গ্রামের হাজারো মানুষ ঠিকভাবে যাতায়াত করতে পারছে না। বৃষ্টি হলেই রাস্তার কয়েক জায়গায় হাঁটুপানি হয়। এতে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকেও জানানো হয়েছে। 

সড়কের কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বনান্তর ট্রেডিংয়ের ম্যানেজার মুকুল হোসেন বলেন, হঠাৎ কোনো মাটির রাস্তা পাকাকরণ (পিচ ঢালাই) করতে হলে একটু সময় দিতে হয়। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাস্তায় বালু ফেলার কাজ শেষ হলেই পাকা করতে অন্যান্য কাজ করা হবে। তিনি জানান, বিভিন্ন কারণে নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর রাস্তাটি পাকাকরণ সম্ভব হচ্ছে না। 

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী সায়ফুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ওই সড়ক পাকাকরণের কাজ শুরুর তারিখ ছিল ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর। এপ্রিল মাসের ভেতর কাজ সম্পন্নের কথা রয়েছে। বালু ফেলতে দেরি হওয়ায় কাজে ধীরগতি হয়েছে। বর্তমানে ওই সড়কের কাজ চলমান রয়েছে। ঠিকাদারকে কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন

×