ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

শোলাকিয়ায় এবারও দেশের অন্যতম বড় ঈদ জামাত

শোলাকিয়ায় এবারও দেশের অন্যতম বড় ঈদ জামাত

ছবি: সমকাল

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪:০৭ | আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫:৪৬

কিশোরগঞ্জের ২৭৪ বছরের প্রাচীন বহুল আলোচিত শোলাকিয়া ঈদগাহে এবারও দেশের অন্যতম বৃহত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আনুমানিক ৫ লাখ মুসল্লি জামাতে নামাজ পড়েন। কিন্তু এবার সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এবার আবহাওয়া ছিল পরিষ্কার, তাপমাত্রাও ছিল সহনীয়। ফলে মুসল্লিদের ভোগান্তি কম হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে জামাত সম্পন্ন হয়েছে।

শোলাকিয়ায় এদিন জামাত শুরু হয় সকাল ১০টায়। কিন্তু সকাল ৬টা থেকেই ঈদগাহমুখী প্রতিটি রাস্তায় ছিল জনস্রোত। সকাল ৯টার মধ্যেই পুরো মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে আশপাশের রাস্তাঘাটেও মানুষ জামাতে দাঁড়িয়ে পড়েন। জামাতের আগে জেলা প্রশাসক ও ঈদগাহ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র সমবেত মুসুল্লিদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন এবং সবাইকে ঈদ মোবারক জানান।

এ মাঠের সুদীর্ঘকালের ঐহিত্য অনুসারে জামাত শুরুর ১৫ মিনিট আগে তিনটি, ১০ মিনিট আগে দুটি, আর ৫ মিনিট আগে একটি শটগানের গুলি ফুটিয়ে জামাত শুরুর সঙ্কেত দেওয়া হয়। প্রথমেই গুলি ছোঁড়েন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ। ঈদগাহর নিয়মিত ইমাম মুফতি মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ অসুস্থ থাকায় ইমামতি করেন ঈদগাহর প্যানেল ইমাম শহরের বড়বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা শোয়াইব বিন আব্দুর রউফ।

ঈদগাহকে কেন্দ্র করে পুরো শহরকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করে ৩২টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছিল। প্রত্যেক মুসল্লিকে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষর করে আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর থেকেই এ ধরনের বাড়তি নিরাপত্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। পুলিশ, র‌্যাব ও এপিবিএনের পাশাপাশি মোতায়েন ছিল ৫ প্লাটুন বিজিবি সদস্য। বসানো হয়েছিল ৬৪টি সিসি ক্যামেরা। ঈদগাহে ছিল পুলিশ ও র‌্যাবের ৬টি ওয়াচটাওয়ার। ব্যবহার করা হয় চারটি ড্রোন ক্যামেরা ও ৬টি ভিডিও ক্যামেরাসহ বাইনোকুলার। মাঠের বাইরে স্থাপন করা হয়েছিল মেডিকেল ক্যাম্প। মোতায়েন ছিল ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট। বরাবরের মতো এবারও দূরবর্তী মুসল্লিদের আগমনের সুবিধার্থে রেলওয়ে বিভাগ ভৈরব ও ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জগামী দুটি ঈদ স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করেছিল। জামাতের পর আবার মুসল্লিদের নিয়ে এসব ট্রেন গন্তব্যে চলে গেছে।

নামাজ শেষে ইমাম শোয়াইব বিন আব্দুর রউফ তার মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য দোয়া করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সকল শহীদ সদস্য এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সাফল্য কামনা করেন। জীবিত সকল মানুষের সুস্থতা ও হেদায়েত কামনা করেন।

আরও পড়ুন

×