বাইকে বেপরোয়া গতি, আহত মিলনও বাঁচল না

আহত অবস্থায় ঢামেকে মারা যাওয়া কলেজছাত্র মিলন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
জকিগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | ২১:৪৮
সিলেটের জকিগঞ্জে দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত আরও এক তরুণ মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সন্ধ্যায় মারা যায় মিলন আহমেদ (১৮) নামের ওই কলেজছাত্র। এ নিয়ে দুর্ঘটনাটিতে প্রাণ গেছে মোট চারজনের।
নিহত অন্যরা হলেন– জকিগঞ্জ উপজেলার খলাছড়া ইউনিয়নের মাদারখাল গ্রামের আফতার আলীর ছেলে আদিল হোসাইন (২০), একই গ্রামের জমির আলীর ছেলে জাকারিয়া আহমদ (২১) ও বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের মিনারাই গ্রামের রাজু আহমদের ছেলে রেদওয়ান আহমদ ফুয়াদ (১৮)। ফুয়াদ বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়তেন।
শুক্রবার গভীর রাতে জকিগঞ্জ-সিলেট সড়কের শাহবাগ মুহিদপুর এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। ঘটনাস্থলেই দু’জন মারা যান। আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেদিনই মারা যান।
রোববার মারা যাওয়া মিলন জকিগঞ্জের খলাছড়া ইউনিয়নের মাদারখাল গ্রামের সোবহান আলীর ছেলে। তিনি জকিগঞ্জ সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়তেন।
স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, একটি মোটরসাইকেলে করে আদিল হোসাইন, জাকারিয়া আহমদ ও মিলন আহমেদ ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। তারা বেপরোয়া গতিতে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে জকিগঞ্জ-সিলেট সড়কের শাহবাগ মুহিদপুর এলাকায় পৌঁছান। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আরেকটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। দুটি মোটরসাইকেলই তীব্র গতিতে চালানো হচ্ছিল। বিপরীত দিকের মোটরসাইকেলে ছিলেন রেদওয়ান আহমদ ফুয়াদ।
স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। সেখানে আদিল হোসাইন ও জাকারিয়া আহমদকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ভর্তি হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর রেদওয়ান আহমদ ফুয়াদ মারা যান। মিলন আহমদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেকে ভর্তি করেন স্বজনরা।
মিলনের মৃত্যুর সংবাদ রোববার সন্ধ্যায় সমকালকে নিশ্চিত করেছেন জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ। তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে ওই তরুণের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।