বাল্যবিবাহ রোধে জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধ জরুরি

ছবি-সংগৃহীত
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭:৩৫
সাগরপারের পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি পুনরায় ব্যবহার (রিসাইক্লনিং) করে খেলনা তৈরির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা সম্ভব বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা। একে সাগরপারের মানুষের জন্য বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের একটি হাতিয়ার বলেও উল্লেখ করেন তারা। তারা বলেন, বাল্যবিবাহ রোধে জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধ জরুরি।
মঙ্গলবার কক্সবাজারে পরিবেশবান্ধব খেলনা প্রস্তুত অনুষ্ঠানে সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এমন মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহীন ইমরান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিডব্লিউএ'র উপ-পরিচালক সুব্রত বিশ্বাস। এতে বক্তব্য রাখেন শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থাপক ডক্টর এলিসা ক্যাল্পোনা।
মোহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, শিশুদের দক্ষ ও আনন্দিত করতে হস্ত শিল্পের এই উদ্যোগ খুবই সফল অনুষ্ঠান। তিনি আরও বলেন, এর মাধ্যমে শিশুরা তাদের আবেগ ও সৃষ্টিশীলতা প্রকাশ করতে পারছে। উদ্যোগের জন্য তিনি এমওব্লিউসিএ ও ইউনিসেফকে ধন্যবাদ জানান। এমন অনুষ্ঠান আবারও কক্সবাজারে করার বিষয় তিনি তার সমর্থন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন।
ডক্টর এলিসা ক্যাল্পোনা বলেন, সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি, নদী তীর ক্ষয়, বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি এবং বর্ষা ও ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সম্প্রদায়গুলো গৃহ ও কর্মহীন হয়ে পড়ছে। যার ফলে টিকে থাকার উপায় হিসেবে শিশুদের অধিক হারে বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রমের মত ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। শিশু অধিকার লঙ্ঘনের মূল কারণগুলো প্রতিরোধে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
এমওডাব্লিউসিএ, এপিসি প্রজেক্ট ডিরেক্টর লতিফ এই অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, বিগত আট মাসে বাংলাদেশ সরকার ও ইউনিসেফ যৌথভাবে পরিবেশ বান্ধব খেলনা উৎপাদনের সক্ষমতা তৈরি করেছে। সমগ্র বাংলাদেশ থেকে কমিউনিটিতে সহায়তার জন্য ১৫ হাজারের অধিক ৩০ বছর বয়সী মায়েদের এবং সহকর্মী নেতাদের ক্ষমতায়িত করা হয়েছে যারা এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যা দশ লক্ষাধিক শিশু ও সম্প্রদায় সদস্যদের কাছে তা পৌঁছে দিচ্ছে।
- বিষয় :
- বাল্যবিবাহ