ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

চুয়েটের আন্দোলনের মধ্যে পাঁচ জেলায় পরিবহন ধর্মঘট

চুয়েটের আন্দোলনের মধ্যে পাঁচ জেলায় পরিবহন ধর্মঘট

ফাইল ছবি

 চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ০০:৩৬

বাসের ধাক্কায় দুই ছাত্র নিহতের ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে পাঁচ জেলায় ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে ‘বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে আজ রোববার সকাল ৬টা থেকে এই ধর্মঘট পালন করা হবে। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর বিআরটিসি মার্কেটে সংগঠনটির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সভায় ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত হয়। 

সংগঠনের আহ্বায়ক মঞ্জুর আলম চৌধুরী মঞ্জু ও সদস্য সচিব মো. মুছা জানান, চার দাবিতে তারা যাত্রী পরিবহনে নিয়োজিত বাস, মিনিবাস, কোচ, টেম্পো, অটোরিকশাসহ সব ধরনের গণপরিবহনে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি চলবে। বিভিন্ন সময় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলার পরও তাদের দাবিগুলো সুরাহা না হওয়ায় বাধ্য হয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে ‘নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার পরিবহন শ্রমিকদের মুক্তিসহ চার দাবিতে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতেই চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের চুয়েট সংলগ্ন অংশ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। ভাঙচুর করেন শাহ আমানত পরিবহনের কয়েকটি বাস। বৃহস্পতিবার আবারও গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়। ওই দিন রাতেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বৈঠক করে। এর পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন। ফলে শুক্রবার চুয়েটের জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে ৯ মে পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে। তবে হল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল সকালে কিছু শিক্ষার্থী আবারও সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন। এর মধ্যেই ধর্মঘটের ডাক দিল বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

সংগঠনটির আহ্বায়ক মঞ্জুর আলম সমকালকে বলেন, আমাদের প্রথম দাবি হলো, মালিক-শ্রমিকদের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়াই যাতে কোনোভাবে গ্রেপ্তার, জেল কিংবা মামলা না দেওয়া হয়; চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার শ্রমিকদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া ও মামলা প্রত্যাহার করা। দ্বিতীয় দাবি, সম্প্রতি চুয়েটে দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বাসচালক গ্রেপ্তার হয়েছে, মামলা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর আমাদের বাস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কাপ্তাই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করতে হবে। তিন নম্বর দাবির মধ্যে রয়েছে– হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও মহাসড়কে নিবন্ধনহীন অটোরিকশা, ইজিবাইক, টমটমসহ নিবন্ধনহীন শত শত গাড়ি চলছে। এই ধরনের গাড়ির চলাচল বন্ধ করতে হবে। চার নম্বর দাবি, একটি প্রভাবশালী মহল আইনের তোয়াক্কা না করেই মালিক-শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

আরও পড়ুন

×