আনারস পাতার সিল্ক জামদানিতে আশার আলো: দীপু মনি

মানিকগঞ্জে আনারস পাতার আঁশ থেকে পাইনাপেল সিল্ক জামদানি শাড়ির কারখানার উদ্বোধনকালে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগামী দিনে এই নতুন উদ্ভাবনী আশার আলো জাগাবে। আমাদের দেশের চহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার চর বেউথা এলাকায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ডলেস অ্যান্ড পূওর (আলাপ) কর্তৃক উদ্ভাবিত পাইনাপেল সিল্ক উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। তীব্র তাপদাহের কারণে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা না করে কারখানাটি পরিদর্শন শেষে সংক্ষিপ্তভাবে কয়েক মিনিটের বক্তব্য রাখেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, আলাপ সংস্থাটি দীর্ঘ দিন ধরে গবেষণা করে আনারসের পাতা থেকে সুতা তৈরি করে আর সেই সুতা থেকে সিল্ক কাপড়সহ নানান সামগ্রী তৈরি করছেন। আনারস নিয়ে সংস্থাটি আরও গবেষণা করে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর উপাদান তৈরি করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে। এই শিল্পটি দেশের সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত খুলে দিবে। প্রয়োজনের শিল্পটিতে প্রসার করতে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন তিনি।

আলাপের নির্বাহী পরিচালক মাসুদা ইসলাম বলেন, ২০০৭ হতে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরে বিষমুক্ত আনারস উৎপাদন এবং আনারস ফল থেকে বিভিন্ন রকমের খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনে মধুপুরবাসীদের নিজ উদ্যোগে প্রশিক্ষণ শুরু করা হয়। সেই সূত্র ধরে সেখানে কাজ করতে গিয়ে ২০০৯ সালে বুঝতে পারি যে, আনারসের পাতার মধ্যে এক প্রকার আঁশ আছে। যা অসম্ভব সুন্দর এবং মজবুত। তখন থেকেই এটা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে এই আঁশকে কাজে লাগানোর জন্য আমার প্রতিনিয়ত চেষ্টা ছিল।
আনারসের আঁশ থেকে বিভিন্ন হস্তশিল্প এবং বর্তমানে আনারসের সিল্ক কাপড় এবং আমাদের এই সোনার বাংলার অর্থাৎ বাংলাদেশের সেই জামদানি শাড়ির উৎপাদনে সক্ষম হয়েছি। 

তিনি জানান, এক সময় আনারসের পাতাগুলো চাষিদের জন্য একটা বোঝা আজ সেই ফেলে দেওয়া পাতা তাদের জন্য বয়ে আনবে সোনালী দিন।

এ সময় মানিকগঞ্জ-২ আসনের এমপি দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ মো. মোস্তফা কামাল, জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি) শুক্লা সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল বাতেন, আলাপ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাসুদা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।