২ বিলিয়ন ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য করতে চায় তুরস্ক

বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দুই বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে চায় তুরস্ক। চট্টগ্রাম সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন এ মন্তব্য করেন।

বুধবার নগরের টাইগারপাসে সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে মেয়রের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। 

সাক্ষাৎকালে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিপুল বিনিয়োগ করেছেন। নগরীর যোগাযোগ অবকাঠামো ঢেলে সাজাতে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য চট্টগ্রাম একটি আদর্শ স্থানে পরিণত হয়েছে। তুরস্ক এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হতে পারে। 

জবাবে রাষ্ট্রদূত রামিস সেন বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। গত অর্ধশতাব্দীতে বাংলাদেশের সুখ-দুঃখে সবসময় তুরস্ক পাশে ছিল। তবে আঙ্কারার সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কের গভীরতা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয় না। এ জন্য আঙ্কারার লক্ষ্য সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যকে দুই বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশ তুরস্ক থেকে আমদানির চেয়ে রপ্তানি বেশি করে। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য মূলত টেক্সটাইল খাতকেন্দ্রিক। তুরস্ক বাংলাদেশে টেক্সটাইল খাতের বিভিন্ন যন্ত্র ও কেমিক্যাল রপ্তানি করে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করে। তুরস্ক কেবল টেক্সটাইল খাতে সীমাবদ্ধ না থেকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের বহুমুখীকরণ চায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের রিয়ার অ্যাডমিরাল মুস্তফা কায়া, কর্নেল এরদাল শাহিন, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও বাংলাদেশে তুরস্কের অনারারি কনসাল জেনারেল সালাহউদ্দিন কাশেম খান।