শিবালয় উপজেলা নির্বাচন
পোস্টার লাগানো নিয়ে মারধর, গুলি

সড়ক অবরোধ
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ মে ২০২৪ | ২১:৫২
নির্বাচনী পোষ্টার লাগানোর ঘটনার জের ধরে শিবালয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজাউর রহমান জানুর দুই কর্মীকে মারধরের ঘটনায় প্রতিপক্ষের সর্মথকদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রহিমের সমর্থকরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচা ডাক্তারবাড়ি এলাকায় গাছের গুড়ি ফেলে আড়াই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে রেজাউর রহমান খান জানুর কর্মীরা আরিচা ডাক্তার বাড়ি এলাকায় পোস্টার লাগাচ্ছিলেন। এ সময় রহিম খানের কর্মীরা তাদের মারধর করে। এতে আহত হন জনি ও সিয়াম। কর্মী আহত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন রেজাউর রহমান জানুর ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ফাহিম খান রনি ও তার লোকজন। এ সময় প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে ফাহিম খান রনি গুলি ছোড়েন।
রহিম খানের সমর্থক জয় ঘোষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন, শুক্রবার বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে তিনি আরিচা ডাক্তারবাড়ি রহিম খানে ক্যাম্পে আসার পর রেজাউর রহমান খান জানুর ছেলে ফাহিম খান ও চাচাতো ভাই আরুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুনতাকিম রহমান অনিক লোকজন নিয়ে ক্যাম্পে হামলা চালায়। এ সময় রনি তাকে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি করে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজাউর রহমান খান জানুর ছেলে ফাহিম খান রনি সমকালকে বলেন, পোস্টার লাগানো ঘটনায় তাদের দু’জনকে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় তাদের কর্মী জনি ও সিয়াম পড়ে রয়েছে। তাদের উদ্ধার করতে গেলে রহিম খানে ভাগ্নে শিবালয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন ও জয় ঘোষের নেতৃত্বে তাদের উপর আক্রমণ করা হয়। একজন তাকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে মারতে গেলে তিনি আত্মরক্ষার জন্য এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েন। তবে কোনো ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয়নি। তিনি দাবি করেন, রহিম খানের লোকজন মহসড়ক অবরোধ করে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলেছে।
এ ব্যাপারে শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রহিম খান ও তার লোকজন বিকেল ৫টার দিকে আরিচা ডাক্তার বাড়ি এলাকায় মহসড়ক অবরোধ করে। এরপর ঘটনাস্থলে স্থানীয় সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ ও পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান আসেন। রাতে সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ সুপারের অনুরোধে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় জয় ঘোষ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাতে তিনি বলেছেন, তাকে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- বিষয় :
- শিবালয়
- উপজেলা নির্বাচন
- গুলি