ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

রাবি ছাত্রলীগ

এবার নেতাকে হত্যার হুমকির অভিযোগে অস্ত্র হাতে মহড়া

এবার নেতাকে হত্যার হুমকির অভিযোগে অস্ত্র হাতে মহড়া

ছবি: সমকাল

রাবি প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪ | ২২:৫৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের এক দিন পর ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে ক্যাম্পাসে। এক পক্ষের নেতাকে হত্যার হুমকির অভিযোগে সোমবার রাতে রামদা, রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরে বহিরাগত ধরতে রাত ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ সোহরাওয়ার্দী হলে অভিযান চালায়। ভোর ৫টার দিকে অভিযান শেষ হওয়ার পর উত্তেজনা কিছুটা কমে।

এর আগে শনিবার রাতে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হল ছাত্রলীগের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদের সঙ্গে হল সহসভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে রাত ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ছয়টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের পর নিয়াজ হলে ছিলেন না। সোমবার রাত দেড়টার দিকে তিনি ১০-১২ জন কর্মী নিয়ে হলে আসেন। ফটকে আতিকের সঙ্গে তাদের দেখা হয়। আতিকের অভিযোগ, ওই সময় নিয়াজ তাঁকে গালাগাল করেন এবং মারধর ও হত্যার হুমকি দেন।

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জানান, আতিক রাবি ছাত্রলীগ সভাপতির অনুসারী। তবে নিয়াজের সঙ্গে সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের তেমন সখ্য নেই। স্থানীয় বাসিন্দা নিয়াজ জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গেই বেশি ওঠবস করেন।

এদিকে নিয়াজ হলে ঢোকার কিছুক্ষণ পরই পাশের মাদার বখ্শ হলের ফটকে জড়ো হতে শুরু করেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারীরা। তাদের হাতে দেখা যায় রড, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র। রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ ও সোহরাওয়ার্দী হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন। রাত পৌনে ৩টার দিকে যান রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তারা ওই সময় সোহরাওয়ার্দী হলে বহিরাগত প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালায়। ভোর ৫টার দিকে অভিযান শেষ হলে নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

বহিরাগত নিয়ে প্রবেশ এবং হত্যার হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা নিয়াজ বলেন, হলের ১০ জন ছোট ভাই নিয়ে সবার সামনে দিয়ে প্রবেশ করেছি। হল গেটে আতিকের সঙ্গে দেখা হলেও কোনো কথা হয়নি। হত্যার হুমকির অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, জোহা হল এবং মাদার বখ্শ হলের ছাদ থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বেশ কিছু বহিরাগতকে ডাইনিংয়ের ছাদ দিয়ে হলে ঢুকতে দেখেন। বিষয়টি তারা প্রক্টরকে জানালে প্রশাসন অভিযান চালায়। আর তাদের এক নেতাকে হত্যার হুমকির অভিযোগে নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, অভিযোগ পেলেও হলে বহিরাগত পাওয়া যায়নি। তবে একটি চায়নিজ কুড়ালের অংশ পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন

×