একদিনের বৃষ্টিতে মাসভর ভোগান্তি

জমে থাকা পানি মাড়িয়ে চলছে অটোরিকশা। মঙ্গলবার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বারেন্ডা এলাকায় দেখা যায় এমন দৃশ্য সমকাল
এম তুষারী, কালিয়াকৈর (গাজীপুর)
প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪ | ০১:০৭
কাশিমপুর-শ্রীপুর আঞ্চলিক সড়কটি পড়েছে গাজীপুর সিটি করপোরশেনে। কিছু অংশ তিন নম্বর ওয়ার্ডে, কিছুটা দুই নম্বর ওয়ার্ডে। এলাকাবাসীর ভাষ্য, একদিন বৃষ্টি হলে সড়কটির বারেন্ডা এলাকার প্রায় ৩০০ মিটার অংশে জমে যায় পানি। মাস পেরিয়ে গেলেও সেই পানি আর নামে না। ফলে তাদের ভুগতে হয় মাসভর। বারবার সড়কটি সংস্কারের তাগদা দিলেও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাদের।
এই সড়ক দিয়ে নিয়মিত অটোরিকশায় যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করেন কবির হোসেন। তিনি মঙ্গলবার বলেন, এমনিতেই ঘরবাড়ির ময়লা পানি এই সড়কে পড়ে। দু’দিন আগে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। সেই পানি জমে আছে। এই চালকের ভাষ্য, বারেন্ডা জায়গাটি আশপাশের এলাকা থেকে নিচু। ফলে পানি নিষ্কাশনের জায়গা নেই। আশপাশের পানিও এখানে জমে থাকে। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ নিরসনের দাবি জানান তিনি।
সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী থেকে কাশিমপুর বাজারের পশ্চিম দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের শ্রীপুরের মাথায় সংযুক্ত হয়েছে কাশিমপুর-শ্রীপুর আঞ্চলিক সড়কটি। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৮ কিলোমিটার। এলাকাটির আশপাশে রয়েছে বিপুলসংখ্যক রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা। ফলে হাজারো শ্রমিকের বাস। নিয়মিত শত শত অটোরিকশা, বাস-মাইক্রোবাসে করে যাতায়াত করেন অন্য পেশাজীবীরাও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সময় বাঁচাতে আশপাশের এলাকার বহু যানবাহন কাশিমপুর-শ্রীপুর আঞ্চলিক সড়কটি ব্যবহার করে। এই সড়কের বারেন্ডা এলাকার অবস্থিত ডিবিএল মিনি ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ের সামনে প্রায় ৩০০ মিটার জায়গা নিচু। একদিন বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান পানি জমে যায়, যা সরতে কয়েক মাসও লেগে যায়।
এলাকাবাসীর ভাষ্য, সড়কের কোনো পাশেই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। ফলে আশপাশের বাড়িঘরের নোংরা পানি, গোসলের পানিও সড়কে উঠে পড়ে। সঙ্গে বৃষ্টির পানি যুক্ত হলে দুর্ভোগের শেষ থাকে না। শ্রমিক-পথচারীদের অসহনীয় ভোগান্তি সয়েই প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হচ্ছে। স্থানীয় কাউন্সিলর একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিলেও পানি নিষ্কাশনের সুরাহা হচ্ছে না।
বারেন্ডার বাসিন্দা আব্দুল রহিম ও মো. খোরশেদ আলমের ভাষ্য, অনেক সময় এলাকায় অগ্নিকাণ্ড ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের গাড়ি পানি মাড়িয়ে বের করতেও বেগ পেতে হয়। তাই দ্রুত সড়কটি সংস্কারে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।
পানি জমলে খানাখন্দে পড়ার ভয় নিয়েই কাভার্ডভ্যান চালাতে হয় বলে জানান চালক ছলিম উদ্দিন। তিনি বলেন, কোনোভাবে গর্তে পড়লে পণ্য সরিয়ে ভ্যান তুলতে হয়। এতে সময়ের অপচয় হয়। যে কারণে এখানে এলে তারা খুব সতর্কভাবে গাড়ি চালান। অনেক সময় ঢাকায় যেতে বিকল্প পথও ধরেন।
গাজীপুর সিটির করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহীন মোল্লাহ বলেন, বিষয়টি তাঁর নজরে এসেছে। নিজস্ব অর্থায়নে সড়কটি সংস্কারের কাজ দ্রুতই শুরু করার আশ্বাস দেন তিনি।
- বিষয় :
- বৃষ্টির পানি