ফসলি জমি ধ্বংস করে মাটি বিক্রি, দুটি ট্রাক্টর জব্দ

দুর্গাপুরের ঠাকুরকান্দায় ফসলি জমির মাটি ভেকু দিয়ে কাটা হচ্ছে সমকাল
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৪ | ০০:৩০
গ্রামীণ সড়কে ঢুকতেই মাটিবাহী ট্রাক্টরের আনাগোনা নজরে পড়ে। কখনও চোখে পড়ে বালুভর্তি ট্রাক্টর ও ট্রলি। সেসব ট্রাকই সন্ধান দেয় কোথায় থেকে আনা হচ্ছে মাটি। এ ঘটনায় গত বুধবার বিকেলে অভিযানে নামেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান।
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে ফসলি জমিতে ভেকু বসিয়ে গর্ত করে দিনরাত সমান তালে তোলা হয় মাটি। এসব মাটি ডাম ট্রাক ও সড়কে নিষিদ্ধ ট্রাক্টর দিয়ে পরিবহন করে নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে কৃষিজমির পাশাপাশি রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
জানা গেছে, দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের ঠাকুরবাড়ি কান্দা এলাকায় ফসলি জমি থেকে মাটি তুলে দেদার বিক্রি করছে স্থানীয় একটি মহল। খবর পেয়ে গত বুধবার অভিযানে যান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় মাটি উত্তোলনকারীরা। পরে দুটি ট্রাক্টর জব্দ করেন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান। এ ছাড়া প্রায় ১০টির মতো ট্রাক্টরের চাকার হাওয়া ছেড়ে দেওয়া হয়।
আইনি জটিলতায় গত ১৪ এপ্রিল থেকে দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদীর পাঁচটি বালু মহাল বন্ধ রয়েছে। এই বালু মহাল ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য চলে আসছে। তবে হঠাৎ বালু মহাল বন্ধ হওয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চক্রটি। কয়েকদিন ধরে কৃষিজমি ধ্বংস করে ভেকু দিয়ে গভীর গর্ত করে মাটি তোলা হচ্ছে। এতে যেমন ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে, তেমনি ঝুঁকিতে পড়ছে রাস্তাঘাট। এর আগে ২৫ মে শিমুলতলী এলাকায় ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলনের অপরাধে এক ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
দুর্গাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করা অবৈধ। অভিযানে গিয়ে মাটি উত্তোলনকারী চক্রের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মাটিবাহী দুটি ট্রাক্টর জব্দ করা হয়েছে। এগুলোর মালিক পক্ষের খোঁজ নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- বিষয় :
- মাটি বিক্রি