ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

বন্যা পরিস্থিতি

সুন্দরগঞ্জে নামেনি পানি, কমেনি দুর্ভোগ

সুন্দরগঞ্জে নামেনি পানি, কমেনি দুর্ভোগ

তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে নিচে রয়েছে। ছবি: সমকাল

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৪ | ১৬:১৫ | আপডেট: ২২ জুন ২০২৪ | ১৬:২৬

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। পানি কিছুটা কমলেও পরে তা আবার আগের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে নিচে রয়েছে। চরাঞ্চলের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি ডুবে গেছে। পানিবন্দি হয়ে চরম ভোগান্তিতে দিন পার করছে দেড় হাজার পরিবার।

তিস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে অব্যাহত ভাঙনে পাটসহ নানা ফসলি জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। গত ১৫ দিনে উপজেলার কাপাশিয়া, হরিপুর , শ্রীপুর ও চন্ডিপুর ইউনিয়নে তিন শতাধিক বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে। পানি বাড়ায় চরাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা নষ্ট হয়েছে। নৌকা ছাড়া এক চর হতে অন্য চরে যাওয়া যাচ্ছে না। 

প্রতি বছর তিস্তায় পানি বাড়লে সুন্দরগঞ্জের তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নে বন্যা দেখা দেয়। স্থানীয়দের দাবি, নদীভাঙন ঠেকাতে ড্রেজিং, খনন ও সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে না সরকার। প্রতি বছর শত শত বসতবাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে নদীগর্ভে।

কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাটি কাপাশিয়া গ্রামের আনছার আলী জানান, বন্যায় তোষাপাটসহ তাঁর তিন বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে শতাধিক বিঘা ফসলি জমি। তিনি বলেন, নদীতে পানি বাড়লে বা বন্যা এলে তিস্তার চরাঞ্চলের মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না। অথচ এসব দেখার কেউ নেই। ত্রাণ দিয়েই দায় এড়িয়ে যান সবাই। 

হরিপুর লখিয়ার পাড়া গ্রামের সোলেমান মিয়া বলেন, প্রতি বছর নদীর ভাঙনে বসতবাড়ি, আবাদী জমি হারিয়ে যাচ্ছে। চরের একজন বাসিন্দাকে মৌসুমে কমপক্ষে তিন-চারবার ঘরবাড়ি বাস্তুচ্যুত হতে হচ্ছে।

তারাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামের দাবি, নদী খনন, ড্রেজিং, স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে বহুবার চাহিদা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোন ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ হতে নেওয়া হয়নি। শুধু ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হচ্ছে। স্থায়ী ব্যবস্থা না নিলে চরবাসির দুঃখ দূর হবে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাশিদুল কবির জানান, কাপাসিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নের কয়েকটি চরে তিস্তার ভাঙনে তোষাপাটসহ অন্যান্য ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে; ডুবে গেছে ফসলি জমি। কৃষকদের ক্ষতি হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিরূপণ করা হয়নি। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিফ মন্ডল জানান, তারাপুর, বেলকা, চন্ডিপুর, কাপাসিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা জানিয়েছেন, নদী ভাঙনে দেড় হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তালিকা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে বিতরণ করা হবে।

আরও পড়ুন

×