ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

সংযোগ সড়কে মাটি নেই, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

সংযোগ সড়কে মাটি নেই, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

হুক্কু সেতুর সংযোগ সড়কে মাটি না থাকায় দুর্ভোগ

সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪ | ২০:৪৪

সাত বছর আগে স্থানীয়দের চলাচলের সুবিধার জন্য নাটোরের সিংড়া উপজেলার ইটালী ইউনিয়নের সাতপুকুরিয়া-হিজলী সড়কে সেতু নির্মাণ করা হয়। শুরু থেকেই এক পাশে মাটি ভরাট না করায় চলাচলে উল্টো দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই স্থানীয়রা সেতুটির নাম দিয়েছে হুক্কু সেতু! 
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামানো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সাতপুকুরিয়া-হিজলী সড়কে বাইরভিটা খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৬৪০ টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণ কাজ করেন পাবনার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আশরাফুল ইসলাম। 
সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, সেতুর একপাশে মাটি থাকলেও অপর পাশে গর্ত। এতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। ঢাল বেয়ে ওঠানামা করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারীদের। কদাচিৎ এক পাশ দিয়ে যানবাহন উঠলেও অন্য পাশে লোক ডেকে ধরাধরি করে নামতে হয়। অথচ জনগুরুত্বপূর্ণ এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন সাতপুকুরিয়া, হিজলী, বিজয়নগর, তাজপুর, নুরপুর গ্রামের দুই হাজারেরও বেশি মানুষ চলাচল করে থাকে। সাতপুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও এ পথ ব্যবহার করে। মাঝেমধ্যেই খুদে শিক্ষার্থীরা সেতু থেকে পড়ে আহত হয়। সামান্য বৃষ্টি হলেই চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অসুস্থ ও বৃদ্ধ লোকদের নিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। 
স্থানীয় কৃষক রহিদুল ইসলাম ও রকিব হোসেন জানান, আগে এ পথ দিয়ে ভ্যান ও গরুর গাড়ি করে কৃষিপণ্য বাজারে নেওয়া যেত। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে সেতু নির্মাণের পর থেকে এ পথে চলাচলই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
মোটরসাইকেল চালক সুলতান হোসেন বলেন, না বুঝে সেতুতে উঠেই বিপদে পড়েছি। বাইক চালিয়ে নামতে পারছি না। লোক ডেকে ধরাধরি করে নামাতে হচ্ছে। আর কখনও এ সেতুতে উঠব না।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল আমিন সরকার বলেন, সেতুটির বর্তমান অবস্থা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
 

আরও পড়ুন

×