ভুল চিকিৎসায় মা-নবজাতকের মৃত্যু, ক্লিনিক ভাঙচুর

প্রতীকী ছবি
যশোর অফিস
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪ | ২১:১২ | আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪ | ২১:১৪
যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়ায় একটি অনিবন্ধিত ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনকালে প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার গ্রামীণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। ভুল চিকিৎসা ও অবহেলার অভিযোগ তুলে রোগীর স্বজন এবং স্থানীয়রা ক্লিনিক ভাঙচুর করেন।
প্রসূতির স্বজনরা জানান, সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে যশোর সদর উপজেলার আন্দুলিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী লিমা খাতুনের প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। এ সময় এক ধাত্রীর পরামর্শে তাঁকে রূপদিয়া বাজারের ওই ক্লিনিকে নেওয়া হয়। এরপর তাঁকে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও রক্তের ব্যবস্থা না করেই সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। প্রসূতি মারা গেলে কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে রক্তস্বল্পতার কারণে জ্ঞান ফিরছে না জানিয়ে প্রসূতিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। খুলনায় নিলে চিকিৎসক জানান, অনেক আগেই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। পরে দুপুর ১টার দিকে নবজাতক ছেলে সন্তানটিও মারা যায়। এ সংবাদে স্বজনরা ক্লিনিকে গিয়ে তালা ঝোলানো দেখতে পেয়ে ভাঙচুর চালান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ ক্লিনিকের দালাল চক্রের সদস্য নরেন্দ্রপুর গ্রামের এক নারী ১ হাজার ২০০ টাকার বিনিময়ে লিমা খাতুনকে কৌশলে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করে। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সিজারিয়ান অপারেশন করেন ওই ক্লিনিকের চিকিৎসক নুরছালী তুলি। তুলিও পলাতক।
লিমা খাতুনের স্বামী রফিকুল ইসলাম জানান, ভুল চিকিৎসায় তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ক্লিনিকে তালা মেরে কর্তৃপক্ষের লোকজন পালিয়ে গেছে।
স্থানীয় নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মিহির মণ্ডল জানান, প্রসূতির মৃত্যুর পর স্থানীয় লোকজন ও রোগীর স্বজনরা ক্লিনিক ঘেরাও করেন। নবজাতকের মৃত্যুর খবরে বিক্ষুব্ধ জনতা ক্লিনিক ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ টিম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাদিক বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অবৈধ ক্লিনিকটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।