ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

বগুড়ায় আইএফআইসি ব্যাংকে চুরি

ময়লার বস্তায় সরানো হয় চুরির সাড়ে ২৯ লাখ টাকা

ময়লার বস্তায় সরানো হয় চুরির সাড়ে ২৯ লাখ টাকা

ব্যাংকে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার চার। ছবি: সমকাল

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪ | ২০:২৮

বগুড়ার মাটিডালি এলাকায় আইএফআইসি ব্যাংকের উপশাখা থেকে গত ১২ জুন সাড়ে ২৯ লাখ টাকা চুরির ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে চুরি যাওয়া ১০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী। বাকি টাকা উদ্ধার এবং ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
  
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বগুড়া সদর উপজেলার বড় টেংরা এলাকার জাহিদুল ইসলাম, সোনাতলা উপজেলার দক্ষিণ আটকরিয়া এলাকার পাভেল মিয়া, আদমদীঘি উপজেলার তালশন কুন্ডুপাড়া এলাকার বিপ্লব সরকার মিথুন এবং গাইবান্ধার ফুলছড়ির সিংড়িয়া এলাকার বিমল রাজভর। 

পুলিশ জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোব ও সোমবার ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথমে পাভেল এবং পরে তার দেওয়া তথ্যে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাভেলের বিরুদ্ধে দুটি এবং জাহিদুলের বিরুদ্ধে একটি চুরির মামলা বিচারাধীন। 

পুলিশ সুপার জানান, ব্যাংকে চুরির ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী জাহিদুল। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী ১২ জুন রাতে মাটিডালি ব্রিজের কাছে চোরের দলের কয়েকজন একত্র হয়। জাহিদুলের নির্দেশে বিমল ও রাকিব আইএফআইসি ব্যাংকের পেছন দিয়ে গিয়ে ভবনটির আশপাশে পর্যবেক্ষণ করে তাদের সঙ্গীদের সবুজ সংকেত দেয়। পরে জাহিদুল, মিথুন ও পাভেল ব্যাংক ভবনের পেছনে অবস্থান নেয়। জাহিদুল প্রথমে ব্যাংক ভবনের ওপরে ওঠে এবং পরে বিমলও তার সঙ্গে প্রবেশ করে। এ সময় বাকি আসামিরা ভবনের আশপাশে সতর্ক অবস্থানে ছিল। জাহিদুল ও বিমল নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতে মুখে মাস্ক ও মাথা পলিথিন দিয়ে ঢেকে ফেলে। পরে তারা ভবনের দেয়ালের ইট ভেঙে ব্যাংকের ভেতরে ঢুকে সিন্দুক ভেঙে ২৯ লাখ ৪০ হাজার ৬১৮ টাকা চুরি করে। ব্যাংকের ভেতরে রাখা ময়লার বস্তায় চুরির টাকা ভরে সেটি নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা। চুরির টাকা ভাগাভাগি করে তারা আত্মগোপনে চলে যায়। পরে চুরির টাকা দিয়ে জাহিদুল একটি মোটরসাইকেল কেনে। 

পুলিশ সুপার আরও জানান, চুরির আগে গত এক মাসে জাহিদুল একাধিকবার এসে ব্যাংকে রেকি করে গেছে। উপশাখায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল নিশ্চিত হয়ে সে চুরির পরিকল্পনা করে। গ্রেপ্তারের পর পাভেলের কাছ থেকে ১ লাখ ১ হাজার ৭৭০ টাকা, বিমলের কাছ থেকে ২ লাখ ৯৩ হাজার ২২০ টাকা, মিথুনের কাছ থেকে ১ লাখ ৯১ হাজার ২৫০ টাকা, জাহিদুলের কাছ থেকে নগদ ৫ লাখ টাকা এবং চুরির টাকায় কেনা মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার প্রত্যেক আসামিকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করা হয়েছে সাত দিন করে রিমান্ডের। 

গত ১২ জুন এই চুরির ঘটনায় পরদিন বগুড়া সদর থানায় মামলা করেছিলেন আইএফআইসি ব্যাংকের উপশাখার সার্ভিস অফিসার নজরুল ইসলাম।

আরও পড়ুন

×