গৃহবধূ হত্যা
দেবরের ফাঁসি, স্বামী ও শাশুড়ির বেকসুর খালাস

প্রতীকী ছবি
যশোর অফিস
প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪ | ২০:৩৭
যশোরের বাঘারপাড়ার গৃহবধূ জিনিয়া ইয়াসমিন তুলি হত্যা মামলায় দেবর মো. শাহাবুদ্দিনকে ফাঁসি ও এক লাখ টাকা জরিমানার রায় দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে স্বামী ও শাশুড়িকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সুরাইয়া সাহাব এ রায় দেন।
ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মো. শাহাবুদ্দিন বাঘারপাড়া উপজেলার পান্তাপাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে। তিনি পলাতক রয়েছেন। বেকসুর খালাসপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন বাঘারপাড়ার পান্তাপাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে ও নিহত জিনিয়া ইয়াসমিন তুলির স্বামী জুলফিকার আলী ও শাশুড়ি ফরিদা বেগম।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আলতাফ হোসেন।
মামলা থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাঘারপাড়ার পান্তাপাড়া গ্রামের স্বামীর বাড়িতে জিনিয়া ইয়াসমিন তুলিকে ছুরিকাঘাতে জখম করে দেবর শাহাবুদ্দিন ও তার সহযোগীরা। তাঁকে উদ্ধার করে যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বাঘারপাড়া থানায় দেবর শাহাবুদ্দিন ও শাশুড়ি ফরিদা বেগমকে আসামি করে মামলা করেন তুলির বাবা ঝিকরগাছার মোবারকপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম।
২০১৯ সালের ২৮ আগস্ট শাহাবুদ্দিন, ফরিদা বেগম ও জুলফিকার আলীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে রোববার এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হয়।
এ রায়ে সন্তুষ্ট নয় বাদীপক্ষ। উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন বাদী শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও সহায়তাকারী দুই আসামি বেকসুর খালাস পেয়েছেন। এতে তারা (বাদীপক্ষ) হতাশ। তারা ন্যায়বিচার পাননি। খালাস পাওয়া আসামিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
তুলির ভাই নূর আলম বলেন, জুলফিকার ও তার মা ফরিদা বেকসুর খালাস পাওয়ায় তারা হতাশ। তাদের কারণেই তুলি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তাদের খালাস মেনে নিতে পারছেন না। তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।
- বিষয় :
- যশোর
- হত্যা মামলা
- ফাঁসির আদেশ
- খালাস