মিতু হত্যা
সাক্ষ্য দিলেন বিচারক ও তদন্ত কর্মকর্তা

বাবুল আক্তার ও মাহমুদা খানম মিতু। ছবি-সংগৃহীত
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪ | ১৯:৪১
চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান ও আবদুস সাত্তার নামে এক সাক্ষীর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহান।
সোমবার চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে মামলার সাক্ষ্যগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষ্য শেষে বিচারক সরোয়ার জাহানের জেরা শেষ করেছে আসামিপক্ষ। তবে পুলিশ কর্মকর্তা কামরুজ্জামানের আংশিক জেরা শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে জেরা করবেন আসামি বাবুল আক্তারের আইনজীবী।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত মহানগর পিপি দুলাল দেবনাথ বলেন, দুই সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। বিচারকের জেরা শেষ হলেও সাক্ষী কামরুজ্জামানের জেরা অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার আসামি বাবুল আক্তারের আইনজীবী কামরুজ্জামানকে জেরা করবেন।
তদন্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান আদালতকে জানান, মিতু মামলার তদন্তভার নেওয়ার পর ৪৭ জন সাক্ষীর ১৬১ জবানবন্দি রেকর্ড করেছি, ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি, ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে ২২ মিনিটের ডিভিও তৈরি করেছি। ৫টি জব্দ তালিকা তৈরি করেছি। বাকলিয়া ও রাউজানে অস্ত্র উদ্ধার করেছি। রাউজানে অভিযানে গেলে দুই আসামি ক্রসফায়ারে মারা যান। সেখান থেকে উদ্ধার করা অস্ত্র এবং বাকলিয়া থেকে উদ্ধার করা অস্ত্র নিয়ে নিজে বাদী হয়ে মামলা করেছি।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পিবিআই সাতজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এ পর্যন্ত এ মামলায় ৫২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
- বিষয় :
- মিতু হত্যা
- বিচারক
- সাক্ষ্যগ্রহণ
- আদালত