ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ভবন ঘেরাও, তিন বোমা উদ্ধার

জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ভবন  ঘেরাও, তিন বোমা উদ্ধার

উদ্ধার হওয়া বোমাগুলো বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করে বোম্ব ডিসপোজাল টিম। ছবি: মেহেদী হাসান সজীব

সমকাল প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ ও রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪ | ২০:১৫ | আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪ | ০০:০৩

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার আড়িয়াবো এলাকার বরপায় প্রবাসী জাকির মিয়ার চারতলা ভবন থেকে তিনটি বোমা, আইটি সরঞ্জাম ও দুটি চাপাতি উদ্ধার করেছে এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাড়িটি তারা ঘিরে রাখে। দুপুরে বাড়ির তিনতলায় অভিযান চালিয়ে বোমাগুলো উদ্ধার করা হয়। পরে সেগুলো বিস্ফোরণ ঘটায় বোমা ডিসপোজাল টিম। ঘটনাস্থল থেকে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
 
অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া এটিইউর এসপি সানোয়ার হোসেন জানান, একটি বোমা বাড়ির মধ্যে ও দুটি বাইরে এনে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ওই বাড়িতে যে জঙ্গিরা অবস্থান করছে বলে তথ্য ছিল, তারা দু’দিন আগেই সরে গেছে বলে মনে হচ্ছে। 

গত সোমবার কক্সবাজারে এক নারী জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে এটিইউ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বরপায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান এটিইউ সদরদপ্তরের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মাহফুজুল আলম রাসেল। তিনি জানান, এর আগে ৯ জুন নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের একটি দোতলা বাড়িতে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। 

ওই বাড়ির এক তলার ভাড়াটিয়া সুন্নত মিয়া জানান, তৃতীয় তলায় যে বাসায় পুলিশ অভিযান চালায় সেখানে তিন মাস আগে ভাড়ায় ওঠে নারী-পুরুষ ও দুই শিশুর একটি পরিবার। নারী-পুরুষ সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোডের একটি গার্মেন্টে কাজ করতেন বলে জানিয়েছিলেন। গত দুই-তিন দিন ধরে তাদের দেখা যাচ্ছে না।

স্থানীয়রা বলেন, বাড়িটি ৮ বছর আগে সৌদি প্রবাসী জাকির হোসেন নির্মাণ করেন। তাঁর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। জঙ্গি আস্তানা ঘেরাওয়ের খবরে গোটা বরপা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাড়িটি দেখতে লোকজনের ভিড় জমে। বোমা বিস্ফোরণের পর আতঙ্ক আরও বেড়ে যায়। 

এটিইউ কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন বলেন, নেত্রকোনায় অভিযানের ভিত্তিতে আমরা কক্সবাজার থেকে এক নারী জঙ্গি সদস্যকে গ্রেপ্তার করি। তার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার থেকে আমাদের সদস্যরা রূপগঞ্জে কাজ করছিল। এখানে একাধিক জঙ্গি সদস্য থাকতে পারে বলে তথ্য ছিল। অভিযানের প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্ব তদন্তের মাধ্যমে শুরু হবে। জঙ্গিবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

স্থানীয়রা জানান, তিনতলার ওই বাসায় অপরিচিত লোকজনের আনাগোনা ছিল। এ নিয়ে প্রতিবেশীদের মাঝে বিভিন্ন কানাঘোষা চলতো। যদি কেউ তাদের পূর্ণ নাম ঠিকানা চাইতো, তাদের উত্তর ছিল আমাদের বাড়ি বাংলাদেশ। 

রূপগঞ্জ থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আরও পড়ুন

×